রাজশাহী মহানগরীর পবা নতুনপাড়া এলাকার গাঙ্গপাড়া খালের দুই পাশের বাড়ি-ঘর ও স্থাপনা উচ্ছেদের বিরুদ্ধে এমপির অবস্থান। রবিবার বেলা সোয়া ১২টার সময় মহানগরীর শাহ্ মখ্দুম ও চন্দ্রিমা থানাধীন সরকারী গাঙ্গপাড়া খালের উপরে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্থাপনা উচ্ছেদে যায় রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড। এসময় খবর পেয়ে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা সেখানে উপস্থিত হয়ে অবস্থান নেন। এসময় ম্যাজিস্ট্রেডের সঙ্গে বাকবিতন্ডা শুরু হলে রাস্তায় বসে অবস্থান নেন এমপিসহ গাঙ্গপাড়া খালের দুই পাশে লোকজন। এলাকাবাসি জানায়, গাঙ্গপাড়া খালের দুই পাশে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার লোকজন বসবাস করে আসছেন তারা। স্বাধীনতার পর থেকে এই এলাকায় অনেক মানুষ বসবাস করে। এখানে প্রায় ৫’শ পরিবারের প্রায় তিন হাজার লোকজন বসবাস করেন। এর আগে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে গাঙ্গপাড়া খালের বাসিন্দারা ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগর কার্যালয়ে গিয়ে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাকে বিষয়টি অবহিত কওে বলেন এই শীতে তাদের ঘরবাড়ি রক্ষার জন্য। এবং শনিবার সন্ধ্যায় ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা গাঙ্গপাড়া এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তাকে ঘিরে ধরেন এলাকার সহস্রাধিক বাসিন্দা। তারা এই শীতে তাদের ঘরবাড়ি রক্ষার জন্য সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এদিকে জেলা প্রশাসক বরাবর দেয়া এলাকাবাসীর আবেদনপত্রে বলা হয়েছে,স্বাধীনতার আগে থেকে এ এলাকায় প্রায় ২৫০টি পরিবার বসবাস করছে। প্রতিটি বাড়ির হোল্ডিং নম্বর রয়েছে। বিদ্যুৎ, পানি এবং গ্যাসের সংযোগও রয়েছে। প্রায় তিন হাজার মানুষের মধ্যে ৫০ এর বেশি এসএসসি পরীক্ষার্থীও রয়েছে। অথচ উচ্ছেদের জন্য গত ১৯ ডিসেম্বর হঠাৎ মাইকিং করা হয়। এবং সময় বেধে দেয়া হয় তিন দিনের জন্য। এবিষয়ে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী কোহিনুর আলম জানান, উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে উচ্ছেদ কাজ অভিযান পরিচালনা করা হয়। হঠাৎ সাংসদ বাদশা ও তার লোকজন এসে অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া আমাদের নির্দেশ রয়েছে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার জন্য। এবং মতাবেক উচ্ছেদ করা হবে।