নেত্রকোনার কলমাকান্দায় লরিচাপায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় নিহতের ভাই মো. খোরশেদ আলম ভ‚ইয়া বাদী হয়ে লরির ড্রাইভার মো. জাকির হোসেন ও হেলপার মোখলেছ মিয়াকে আসামী করে এ মামলা করেন। আর এঘটনায় লরির হেলপার মোখলেছ মিয়াকে (২০) আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত মোখলেছ কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের ডোয়ারিয়াকোনা গ্রামের মো. রুস্তুম আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর বাজার থেকে যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশা কয়েক জন যাত্রী নিয়ে কলমাকান্দা সদরের দিকে যাচ্ছিল। কলমাকান্দা-দুর্গাপুর সড়কের বাদে আমতৈল এলাকায় আসা মাত্রই বিপরীত দিক থেকে আসা পাথরভর্তি একটি লরি অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই জালাল উদ্দিন ও কাইয়ুম মারা যান, আর অপর দুই যাত্রী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত মতি মিয়া ও কামাল উদ্দিনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। বেলা ১১টার দিকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আহত দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে বুধবার সন্ধ্যায় নিহত কাইয়ুম এর ভাই মো. খোরশেদ আলম ভ‚ইয়া বাদী হয়ে লরির ড্রাইভার মো. জাকির হোসেন ও হেলপার মোখলেছ মিয়াকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আর এঘটনায় লরির হেলপার মোখলেছ মিয়াকে আটক করে পুলিশ।
নিহত জামাল মুন্সি নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে এবং কাইয়ুম কলমাকন্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামের লোকমান ভূঁইয়ার ছেলে। আহতরা হলেন-দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের মধুয়াকোনা গ্রামের আমজাদ মিয়ার ছেলে মতি মিয়া (৫২), একই ইউনিয়নের নিলাখালী গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে কামাল উদ্দিন (৩৭)।
এ ব্যাপারে কলমাকান্দা থানার ওসি মো. মাজহারুল করিম জানান, নিহতের ভাই খোরশেদ আলম ভ‚ইয়া বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। আর এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে ও আটককৃতকে নেত্রকোনা জেলা আদালতে পাঠনো হয়েছে।