নওগাঁর রাণীনগরের শিয়ালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেঅনিয়ম-দূর্নীতিসহ নানা অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। নওগাঁ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় বিদ্যালয়ে গিয়ে এই তদন্ত শুরু করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার একডালা ইউনিয়নের শিয়ালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্রনাথ সরকার ২০১১ সালে যোগদান করেন। এর পর থেকে সেচ্ছাচারিতা, দূর্নীতি, শোকজ বাণিজ্য, শিক্ষক হাজিরা খাতায় ও বিল ফরমে স্বাক্ষর করতে না দেয়া, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতহানা, টাকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ, বিভিন্ন অনুদানের টাকা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসেবে না রাখা, নিরীক্ষা কমিটি স্বাক্ষর ছাড়াই ইচ্ছে মতো নানা খরচের ভাউচার তৈরি করা, অনেক সময় বল প্রয়োগ করে ভাউচারে স্বাক্ষর নেওয়া, সরকারি অনুমোদন ছাড়াই বিদ্যালয়ের চারটি গাছ কর্তন, সহকারী শিক্ষকদের না জানিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা, অনিয়মিত স্কুলে আসাসহ নানা অনিয়মে জড়িয়ে পরেন তিনি। এ বিষয়গুলোর প্রতিকার চেয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সহকারী শিক্ষকরা গত ২৮ নভেম্বর স্থানীয় সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম এমপিসহ নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোবারুল ইসলাম এই তদন্ত কাজ শুরু করেছেন।
নওগাঁ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোবারুল ইসলাম জানান, রাণীনগরের শিয়ালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনা তদন্তের জন্য মঙ্গলবার শিয়ালা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন তিনি । ইতি মধ্যে তিনি অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক, অভিযোগকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে পৃথক পৃথকভাবে তাদের লিখিত আকারে বক্তব্য নেয়া হয়েছে। এসময় ওই বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীরা পূণরায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরো একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়গুলো ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে । ঘটনার সত্যতা পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।#