যাত্রী ছাউনি যখন চায়ের দোকান

কতৃপক্ষের অবহেলা, উদাসিনতা, নজরদারি এবং ব্যবহার না করার কারণে সুন্দরগঞ্জ-গাইবান্ধা সড়কের যাত্রী ছাউনি সমূহ এখন ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অনেক যাত্রী ছাউনি এখন এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তির দখলে। উপজেলার বালারছিড়া, শোভাগঞ্জ, গাবের তলসহ বেশ কিছু সংখ্যক যাত্রী ছাউনি এখন চায়ের দোকান, টিকিট কাউন্টার ও মুদি দোকানে পরিণত হয়েছে। উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ইচলা বাজার হতে শ্রীপুর ইউনিয়নের মাঠের হাট চৌরাস্তা পর্যন্ত কমপক্ষে ২০টি যাত্রী ছাউনি রয়েছে। ২০১২ সালে তৎকালিন সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের খাঁন অপরিকল্পিতভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং প্লান ইস্টিমেট ছাড়াই যাত্রী ছাউনি সমূহ নির্মাণ করেন। নির্মাণের পর থেকে আজ পর্যন্ত সংস্কার, মেরামত এবং তদারকি করেনি জেলা পরিষদ। সে কারণে দিন-দিন ব্যবহারের অযোগ্য এমনকি বেহাত হয়ে গেছে যাত্রী ছাউনি সমূহ। পথচারি রামজীবন ইউনিয়নের আনিছুর রহমান জানান, বর্তমানে সড়ক গুলোতে নিয়মিত মিনিবাস চলাচল না করলেও ম্যাজিক, অটোবাইক, রিক্সা, ভ্যান ও দুরপাল্লার কোচ সমূহ নিয়মিত চলাচল করে থাকেন। সে কারণে যাত্রী ছাউনি সমূহ স্বচল রাখা একান্ত প্রয়োজন। বিশেষ করে শীতকাল এবং বর্ষাকালে যাত্রী সাধরণকে নিদারুন কষ্ট সইতে হচ্ছে। বাস শ্রমিক রওশন মিয়া জানান, যাত্রী ছাউনি অন্যের দখলে থাকার কারণে রাস্তাঘাট থেকে যাত্রী উঠাতে হচ্ছে। উপজেলা বাস, মিনিবাস, কোর্চ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের উপজেলা সভাপতি রেজাউল আলম রেজা জানান, যাত্রীর সেবার জন্য যাত্রী ছাউনি সমূহ সংস্কার, মেরামত একান্ত প্রয়োজন। তাছাড়া অন্যের দখল থেকে যাত্রী ছাউনি সমূহ উদ্ধার করে তা ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী। জেলা পরিষদ সদস্য এমদাদুল হক নাদিম জানান, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা না থাকায় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী জানান, এটি জেলা পরিষদের কাজ। যদি জেলা পরিষদ যাত্রী ছাউনি উদ্ধারের ক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা চান তাহলে সহযোগিতা করা হবে। তা ছাড়াও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।