প্রযুক্তির বদৌলতে স্মার্টফোন এখন সবার হাতে হাতে। যে সময়টায় যুবকদের খেলার মাঠে থাকার কথা। সেই সময়ে তারা স্মার্টফোন আর ইন্টারনেটে মগ্ন হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন কিছুটা পরিবর্তন আনতে পেরেছেন। উপজেলার ৩১০ জন তরুণকে স্মার্টফোন ছেড়ে খেলার মাঠে ফিরিয়ে এনেছেন তিনি।
গুরুদাসপুরের ১০টি সুবিশাল খেলার মাঠ রয়েছে। মাঠে আছে শতশত তরুণ। তবে খেলছে না কেউ, সবাই মগ্ন স্মার্টফোনে। এসব দেখেই স্মার্টফোন ছেড়ে তরুণদের মাঠে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন ইউএনও তমাল। তিনি সবাইকে উৎসাহ দিচ্ছেন মাঠে ফিরতে। নিজ উদ্যোগে বিতরণ করছেন ক্রীড়া সামগ্রী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার খুবজীপুর মাঠে নাটোর জেলা ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়ার মো. মিজানুর রহমানের পরিচালনায় ৭০ জন ফুটবলার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। পৌর সদরের বিলচলন শহীদ শামসুজ্জোহা সরকারি অনার্স কলেজ মাঠে ফুটবলার পলান ঘোষের পরিচালনায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ২০০ জন, সোহানুর রহমান সজিবের পরিচালনায় ক্রিকেট প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ৫০ জন তরুণ। তাদের সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। ক্রীড়া উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখায় মিজানুর রহমান ও পলান ঘোষকে সম্মাননা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
তারা জানান, অর্থের অভাবে খেলার সামগ্রী কেনা সম্ভব হয়নি। খেলোয়াড়রাও পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পায়নি। এখন ইউএনওর উদ্যোগে তরুণরা আবার মাঠে ফিরছে। এটা দেখে খুব ভালো লাগছে।
ইউএনও মো. তমাল হোসেন বলেন, মাদক, ইভটিজিং, সন্ত্রাসবাদ ও স্মার্টফোনের গÐি থেকে তরুণদের বের করার এটা একটা ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশ নিলে শরীর-মন যেমন সুস্থ থাকে। তেমনই সমাজ থেকে অপরাধও কমবে।
ইউএনও আরো বলেন, যারা স্মার্টফোন ছেড়ে খেলার মাঠে ফিরেছে। তারা যেন মফস্বল পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়ে খেলতে পারে, সেজন্য সবধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে।