“রনে বনে জলে জঙ্গলে যখন বিপদে পড়িবে, আমাকে স্মরন করিও আমিই রক্ষা করিব” … শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী এভাবেই তার হাজারো ভক্তের ওপর ছায়ার মতো বিচরণ করছেন, রক্ষা করছেন তাদের বিপদে, আপদে। শুধু নিজের ভালোবাসা, আশির্বাদ দিয়েই তিনি ভক্তের মনের জোর বাড়াননি তাকে সাবলম্বি হতেও উৎসাহ দিয়েছেন।
শ্রদ্ধেয় লোকনাথ একজন হিন্দু ধর্মগুরু। লোকনাথ বাবা নামে তিনি জনপ্রিয়
শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রমের ‘কার্তিক ব্রত’ বা কার্তিক মাসে লোকনাথ মন্দিরে ভক্তরা একযোগে পুরো কার্তিক মাসের শনিবার ও মঙ্গলবার এই উপবাস উৎসবের রূপে পালন করে থাকেন। এই উপবাস উৎসবের ব্যাপ্তি বা আনুষ্ঠানিকতা বেশ জমকালো।
মন্দিরের সামনে মোম এবং আগরবাতি জ্বালিয়ে ভক্তি নিবেদন করছেন দীপা রায় নামে একজন ভক্ত ।
বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়। শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ভক্তরা কলাপাতা, ফুল, ধান–দূর্বা, মাটির প্রদীপ , ঘি, ডাব, দুধসহ আরও অনেক ধরণের নৈবেদ্য নিয়ে আসেন এখানে। ভক্তরা চলে আসেন সন্ধ্যার আগেই। তাদের এই সকল নৈবেদ্য শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর মূর্তির সামনে কিছুক্ষণের জন্য রেখে দুধ ঢালা ও আগরবাতি জ্বালানোর মধ্যদিয়ে উৎসবের সূচনা করা হয়। তারপর ভক্তরা সারিবদ্ধভাবে মন্দির আঙ্গিনায় সামনে কলাপাতার উপর রাখা ঘিয়ের প্রদীপ নিয়ে বসেন। তারপর বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তারা বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনদের নামে প্রার্থনা করেন এবং সেই উদ্দেশ্যে প্রদীপ প্রজ্বলন করেন। আলোয় আলোয় সেজে উঠছে মন্দির প্রাঙ্গন।
এখানে একটি বিশেষ নিয়ম হলো যে যত জন আত্মীয়–স্বজনদের বিপদ থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করবেন তাকে ঠিক ততগুলো প্রদীপ প্রজ্বলন করবেন। তাই এখানে উপস্থিত ভক্তের তুলনায় প্রদীপের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে ।
নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভায় সাধুপাড়ায় শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দিরে, গৌতম চত্রæবর্তীর বাড়ির মন্দিরে ও কুল্লাগড়া শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দিরে শত শত সনাতন ধর্মালম্বী নারীরা এই অনুষ্ঠান পালন করেন মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত ।