মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ কমলগঞ্জে জাতীয় উদ্যান লাউয়াছড়ায় বাঁশি বাজিয়ে গানে গানে পর্যটক আকৃষ্ট করেন “মদিনা ভাই” নামের এক বংশি বাদক। ৬০ বছর বয়সী মদিনা ভাই ৩ ছেলে ও ১ মেয়র জনক । কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছবাজার সংলগ্ন বাগমারা এলাকার ওই বাঁশিওয়ালা লাউয়াছড়ায় বাঁশি ছাড়াও বাদাম ও আচার বিক্রি করে পরিবার চালান। নিজের কোন ভিটে-মাটি নেই। সরকারি খাস ভূমির ছোট এক ঘরে কোন ভাবে রাত কাটান তিনি। হাসন রাজা’র “লোকে বলে ও বলেরে ঘর-বাড়ি ভালা নায় আমার” কিংবা শাহ আব্দুল করীমের“কোন মেস্তরি নাও বানাইলো এমন দেখা যায়,ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ুরপঙ্খি নায়” এমন মধুর দেশীয় গান যদি বাঁিশর সূরে বনের গহীনে বাজে এমন মধুর গান। তিনি তার বাশির সূরে হাসন রাজা,বাউল আব্দুল করিম, দেশাত্ববোধক, ও সুবিরনন্দিসহ আরো অনেক সূরে গান তুলেন। উদ্যানের গহীন অরন্যে যারা একাধিকবার এসেছেন তারা একটি বার হলেও তার বাশির সূর শুনতে পাশে এসে ভিড় করেন। দুপুর কিংবা বিকেলে হিম বাতাসের আস্ফালন ও পাখির সূরে যখন বনের ভেতর অদ্ভুত এক লগ্ন বের হয়, ঠিক তখনই হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালার মত আরেকটি সুর এসে আগন্তুকদের আনন্দ আরো কয়েক গুন বাড়িয়ে তুলে। এমন বাশির সূরে সূরে আগনিত পর্যটকদের তার সাথে খালি মূখে সূর তুলতে দেখা যায়। তিনি জানান- বিয়ের গায়ে হলুদ কিংবা নানা অনুষ্ঠানে অনেকে তাকে বংশি বাজাতে নিমন্ত্রন করেন। এ নিয়ে চলে তার সংসার। তিনি আরো বলেন, কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া উদ্যানে বাঁশি বাজালে কোন পর্যটক খুশি হয়ে তাকে টাকা দেন,তিনি নিজ থেকে চেয়ে টাকা নেন না। তিনি এ প্রতিবদেকরে মাধ্যমে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের “ইত্যাদি” অনুষ্ঠানে তিনি বংশি বাজাতে চান। আর এটাই তার শেষ চাওয়া।