চরদুলাই বজলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের টাকা আৎসাতের অভিযোগ

সুজানগর(পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার সুজানগর উপজেলার চরদুলাই গ্রামের কৃতি সন্তান মরহুম বজলুর রহমান ১৯৯৪ সালে চরদুলাইয়ের গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে তার নিজের নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিদ্যালয়টি নানা ষড়যন্ত্রর শিকার হয়ে বর্তমানে প্রায় মুখ থুবরে পড়েছে। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ২৫ বছরের মধ্যে একজন মাত্র প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন। বর্তমানে প্রধান্ শিক্ষক এবং সহকারি প্রধান শিক্ষক এই দুইটি প্রশাসনিক পদই দীর্ঘ দিন যাবত শুন্য রয়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিরও ঐ একই অবস্থা। এডহক কমিটি দিয়ে চলছে বিদ্যালয়টি। দীর্ঘ দিন পরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা করা হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাজাহান আলী জানান দাতা সদস্য নিয়ে জটিলতার কারণে র্কোটের আদেশে নির্বাচনটি গত ২৯/১০/২০১৯ইং তারিখে স্থগিত হয়ে যায়। ফলে বিদ্যালয়টি নতুন্ করে গভীর সংকটে পতিত হয়েছে। বজলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা কালিন অন্যতম সদস্য আব্দুর রশিদ জানান নির্বাচন না হওয়ার ফলে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জমি ক্রয়ের বিষয়টি প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয় একাডেমিক ভবনটির জড়াজীর্ণ অবস্থা, দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না করার কারণে ২ তলা ভবনটি ভুতুরে মনে হয়। সীমানা প্রাচীর এতই বেহাল অবস্থায় রয়েছে, যে কোন সময় ভেঙ্গে পরতে পারে। ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ে নতুন্ একাডেমিক ভবন নির্মাণের সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তুু জমির অভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। দাতা সদস্য ইকবাল হোসেন জানান নতুন ভবন নির্মানের লক্ষে গ্রাম বাসী জমি ক্রয়ের উদ্যোগ নিলেও তা সফল হয়নি। বিদ্যালয়টি ২৫ বছরে পা রাখলেও বিদ্যালয় ফান্ডে তেমন কোন অর্থ নেই। জমি ক্রয়ের জন্য বিদ্যালয়ের এফ ডি আর ভেঙ্গে এবং ৩ টি দোকান ইজারা দিয়ে ৫ লক্ষাধিক টাকা সংগ্রহ করা হয়, সেই টাকার সঠিক কোন হদীস পাওয়া যাচ্ছে না, প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম বাচ্চু জমি ক্রয়ের জন্য বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে টাকা উত্তোলন করে, জমি না কিনে সেই টাকা আৎসাত করে, টাকা ফেরতের জন্য বিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ বার বার বলার পর ও টাকা ফেরত দেই নি। এ বিষয়ে রেজাউল করিম বাচ্চু বিদেশে থাকার কারণে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ছাকমান আলী জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে বিদ্যালয়ের ফান্ডের টাকার বিষয়ে তদন্ত করে তা উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।