পাবনা
পাবনাকে ইভটিজিং ও মাদক মুক্ত করার লক্ষে শহরের বিভিন্ন জায়গায় সিভিলে কৌশলে প্রকৃত ইভটিজারদের ও মাদক সেবন, বহন এবং বিক্রেতাদের আটক করতে দেখা যায় সদর থানার ওসি নাসিম আহম্মেদকে। পাবনাতে অল্পসময় যোগদান করেই বেশ কজন ইভটিজিংকারী সহ মাদক কারবারীদের আটক করেছেন। ইভটিজিং কি? ইভটিজিং বলতে কোন মানুষকে বিশেষ করে কোন নারী বা কিশোরীকে তার স্বাভাবিক চলাফেরা বা কাজ কর্ম করা অবস্থায় অশালীন মন্তব্য করা, ভয় দেখানো, তার নাম ধরে ডাকা এবং চিৎকার করা, বিকৃত নামে ডাকা, কোন কিছু ছুঁড়ে দেয়া, ব্যক্তিত্বে লাগে এমন মন্তব্য করা, ধীক্কার দেয়া, তার যোগ্যতা নিয়ে টিটকারী দেয়া, তাকে নিয়ে অহেতুক হাস্যরসের উদ্রেক করা, রাস্তায় হাটতে হাটতে ধাক্কা দেয়া, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করা, ইঙ্গিতপূর্ণ ইশারা দেয়া, সিগারেটের ধোয়া গায়ে ছাড়া, পিছু নেয়া, অশ্লীল ভাবে প্রেম নিবেদন করা। উদ্দেশ্য মূলক ভাবে গান গাওয়া, ছড়া বা কবিতা আবৃত্তি করা, চিঠি লেখা, পথরোধ করে দাঁড়ানো, প্রেমে সাড়া না দিলে হুমকি প্রদান ইত্যাদি। বর্তমানে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যুগে মোবাইল ফোন এর মাধ্যমেও ইভটিজিং হয়ে থাকে কিন্তু বাস্তবতা ইভটিজিং-এ শুধু কি ছেলেদের দোষ? মেয়েদের কোন ভূমিকাই নেই ? ইভটিজিং ছেলেরা মেয়েদের প্রতি করে থাকে। এর কারণ আমাদের সমাজে মেয়েদেরকে ছোট করে দেখার প্রবণতা। যদি পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকতো বা মেয়েদের মানুষের সম মর্যাদার মনে করা হতো, তাহলে ইভটিজিং হতো না। মেয়েরা উত্যক্ত? ছেলেরা স্বাধীন ভাবে চলাফেরা ও ইচ্ছেমত পোষাক-পরিচ্ছেদ পারলেও নারীদের এসব ক্ষেত্রে স্বাধীনতাকে অনেকে ইভটিজিং এর প্রচোরণা বলে মনে করেন যা দুর্বল ও দরিদ্র মানসিকতার পরিচায়ক। তবে অনেক সময় ব্যতিক্রম ঘটনাও ঘটতে দেখা যায়। এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ওসি নাসিম আহম্মেদ এর সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইভটিজিং মুক্ত করার লক্ষে পাবনা পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বিপিএম, পিপি এম এর নির্দেশক্রমে জনাব গৌতম কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) এর দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব মোঃ ইবনে মিজান এর নেতৃত্বে, আমি নিজেই ফোঁসদের নিয়ে পাবনা শহরের বিভিন্ন দোকান, মার্কেট, ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর সামনে সিভিলে দাড়িয়ে থেকে প্রকৃত ইভটিজংকারী ও মাদক সেবন,সহ বিক্রেতাকে গ্রেফতার করছি আর এ অভিযান চলমান থাকবে।