মোঃ আবেদ আলী, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ॥ কোচিংয়ের শিক্ষক ধর্ষন করে পালিয়ে যাওয়ায় ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
কাহারোল উপজেলার গড়েয়া বাজার এলাকার একটি কোচিংয়ের শিক্ষক একই উপজেলার ভাতগাঁ গ্রামের ফজির উদ্দিনের ছেলে লায়মুন ইসলাম (২৫) তার বাড়ী থেকে ৪ কিলোমিটার পূর্ব দিকে বন্ধুর মোটর সাইকেলযোগে ভাতগাঁ শিক্ষা নিকেতেনের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী ও মাল গ্রামের রিয়াজুল ইসলামের মেয়ে (১৪)’কে
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে প্রশ্নপত্র দেওয়ার কথা বলে বাড়ীর পাশে একটি লিচু বাগানে ডেকে নিয়ে যায় এবং ওই শিক্ষক ছাত্রীর সাথে প্রেমলাপ ও বিবাহের প্রলোভোন দেখানোর এক পর্যায় ছাত্রীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষন করে।
কোচিংয়ের ছাত্রীর চিৎকারে গ্রামের লোকজন চারিদিক থেকে ছুটে আসে ও লম্পট শিক্ষক লায়মুনকে ধাওয়া করে। শিক্ষক গনপিটুনীর ভয়ে জীবন বাচাতে বন্ধুর মোটর সাইকেল ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে মোটর সাইকেল উদ্ধার করে সুন্দুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের জমা দেয়।
এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা রিয়াজুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় শিক্ষক লায়মুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে। গত ২৩ অক্টোবর রাতে ধর্ষক শিক্ষকের বাড়ীতে গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করে কিন্ত পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ধর্ষক শিক্ষক লায়মুল বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়।
এরপর পুলিশ স্কুল ছাত্রীর সাক্ষাতকার নেওয়ার জন্য মামলার বাদী রিয়াজুল ইসলামের বাড়ীতে উপস্থিত হলে দেখতেপান ছাত্রী মাত্রা অতিরিক্ত ৮/৯ ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে অজ্ঞান তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ হামিদুল ইসলাম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সফিক ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ধর্ষক শিক্ষক লায়মুনকে গ্রেফতারের জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।