রাজশাহীর বাগমারায় মায়ের সামনে থেকে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাতে তামান্না আক্তার টিয়া (১৭) নামের এক কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় তার কথিত প্রেমিক। পরে শনিবার (১৯ অক্টোবর) তার বাড়ির অদূরে পার্শ্ববর্তী নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার পীরগাছা রাখালগাছা এলাকার একটি আম বাগান থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
টিয়া বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের সমসপাড়া গ্রামের রশিদ উদ্দিনের মেয়ে। সে পুঠিয়ার সাধনপুর পঙ্গু শিশু নিকেতন স্কুল ও কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
জানা গেছে, পুঠিয়া উপজেলার সাধনপুরের খিদিরপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শান্ত ইসলামের (২১) সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কথিত প্রেমিক ওই ছাত্রীর পরিবারকে দিয়ের প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু তাতে আপত্তি জানায় ছাত্রীর পরিবার।
নিহত টিয়ার বাবা রশিদ উদ্দিন বলেন, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে শান্ত ইসলাম সহযোগীদের নিয়ে বাড়ি থেকে তার মেয়েকে জিম্মি করে তুলে নিয়ে যায়। রাতে অনেক খুঁজেও তার সন্ধান মেলেনি। পরদিন সকালে পাশের গ্রামের একটি আমবাগানে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
তিনি অভিযোগ করেন, অপহরণের পর তার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে তাকে হত্যার করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নিহত কলেজছাত্রীর মা নিলুফা বেগম বলেন, টিয়া ও শান্ত একই কলেজে পড়তো। কলেজে গেলেই শান্ত টিয়াকে নানানভাবে উত্ত্যক্ত করতো।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, ঝুলন্ত অবস্থায় লাশের পা সম্পূর্ণ মাটিতে ছিল এবং লাশ নামানোর সময় সাহায্যকারী স্থানীয় মহিলারা নিহতের যৌনাঙ্গে বেশ আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান।
নাটোরের নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) উজ্জ্বল হোসেন বলেন, উদ্ধারের সময় মরদেহের পা মাটি স্পর্শ করে ছিল। গলায় রশি প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে হত্যার আলামত পাওয়া যায়নি। ধর্ষণেরও আলামত নেই। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।