পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের গ্রাম কমিটি করার সময় মিলন বাহিনীর হামলায় ইউনিয়ন আ.লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লাহ সুইটসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। আজ রবিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ওই ইিউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের গ্রাম কমিটি করার সময় এই ঘটনা ঘটে।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, রবিবার রাতে সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের গ্রাম কমিটি করছিলেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা। কমিটি করার সময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মুন্সির ছেলে আমির সোহেল মিলন তার দলবল নিয়ে তাদের পতিপক্ষের উপর সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালানোর কথা শুনেছি। এ সময় কয়েকজন আহত হয়েছে বলেও শুনে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠানো হয়েছে, বিস্তারিত পরে বলা যাবে। ওই বাহিনী কয়েকটি ককটেল বিষ্ফোরণও করেছেন বলে জানতে পেরেছি।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক রইচ উদ্দিন খান জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে গ্রাম কমিটি করার হচ্ছিল। সেখানে উচ্চ বাচ্য কথা হবে স্বাভাবিক। কিন্তু ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতির ছেলে মিলন বাহিনী এসে অতর্কিত ভাবে ধারালো ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করা মোটেও ঠিক হয়নি। তাদের হামলায় ইউনিয়ন আ.লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লাহ সুইট, ৭ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধরন সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ জনি, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা রেজাউল করিম বাবুসহ সিনিয়র জুনিয়র মিলে অন্তত ১৫/১৬ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৫জনকে গুরুতর অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির জন্যে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান তিনি।
সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক বদরুদ্দোজা খান মানিক বলেন, সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মুন্সি চেয়ারম্যান হওয়অর পর থেকে তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পরেছে এলাকার মানুষ। চেয়ারম্যান ও তার ছেলে মিলন মিলে এলাকায় সুদের কারবার, মাদক ব্যবসা, শালিসী বানিজ্যসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে গেলেই নির্যাতন চালায় মিলন বাহিনীল লোকজন। এই মিলন বাহিনীর নিজস্ব টর্চার সেলে নিয়ে ব্যাপক মারপিট করার অভিযোগও রয়েছে। এই বাহিনীর অত্যাচারে ইতিমধ্যেই সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন থেকে অন্তত দেড়শত পরিবার ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস শুরু করেছন। বিষয়টি নিয়ে দলের উপজেলা ও জেলা নেতৃবৃন্দকে অবহিত করার পরেও তাদের নিয়ন্ত্রনে আনতে পরেনি জেলা নেতৃবৃন্দ। আমরা যারা প্রকৃত অর্থে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত তারা চরম বেকায়দায় অবস্থান করছি। মিলন বাহিনীর অত্যাচার থেকে পরিত্রান চায় সাদুল্লাপুরবাসী।
এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইবনে মিজান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিবেশ শান্ত করেছেন। যদি কেউ মামলা করে পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলেও জানান তিনি।
#