ইয়ানূর রহমান : শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বিঘেœ উদযাপনের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে যশোর পুলিশের পক্ষ থেকে। মন্ডপগুলোর গুরুত্ব বুঝে তিন ধরণের নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলার পূজামন্ডপগুলোতে সাড়ে ৬ হাজার নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে মন্ডপগুলোতে নিরাপত্তাকর্মীরা দায়িত্ব পালন করবে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যশোরের ৬৭৮টি মন্ডপে দুর্গাপূজা হবে। ওই পূজামন্ডপগুলোতে ২ হাজার ২৫৫ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। তাদের সাথে থাকবে ৪ হাজার ১৮ জন আনসার সদস্য। মন্ডপগুলোকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ এ তিন ভাগে ভাগ করে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
পৌরসভার মধ্যে পূজামন্ডপগুলোকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে একজন পুলিশ অফিসারের সাথে তিনজন কনস্টেবল এবং আটজন আনসার সদস্য থাকবে। শহরতলীর পূজামন্ডপগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানে একজন অফিসারের পাশাপাশি একজন কনস্টেবল এবং ছয়জন আনসার সদস্যের সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছে।
আর সাধারণ পূজামন্ডপগুলোতে তিনজন পুলিশের পাশাপাশি চারজন কনস্টেবলের সমন্বয়ে একটি করে টিম গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরো বেশি পুলিশ সদস্য টিমে ঢোকানো হবে। যশোর সদরে ১৪৬টি মন্ডপে পূজা আচর্না হবে।
জানাগেছে, পুলিশ ও আনসার সমন্বয়ে গঠিত টিমের পাশাপাশি একাধিক মোবাইল টিম থাকবে। মোবাইল টিমগুলো আবার দিন-রাত ভাগ করে আলাদাভাবে গঠন করা হয়েছে। দিনের বেলায় কোতোয়ালি মডেল থানার আটটি মোবাইল টিম এবং রাতে ২১টি মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করবে। এছাড়া কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সদস্যরা পূজা মপগুলোতে নিরাপত্তার কাজে থাকবেন বলে জানা গেছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি (অপারেশনস) শেখ তাসমিম আলম ও ডিএসবির পরিদর্শক আল মামুন জানান, শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি পূজা উদযাপন কমিটির স্বেচ্ছাসেবক থাকবে।
জরুরি প্রয়োজনে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। সাধারণ মানুষ ২৪ ঘন্টা ওই কন্ট্রোল রুম থেকে সেবা পাবেন। এছাড়া যেকোনো প্রয়োজনে নিকটস্থ থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করা জন্য সর্বসাধারণকে বলা হয়েছে।#