মো.আখলাকুজ্জামান, গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
প্রকৃতির কী অদ্ভুদ খেয়াল। মায়ের পেটে জন্ম নেয়া যমজশিশুর প্রাণ আলাদা থাকলেও ছোট শিশুটির কোনো পা নেই। এমনকি তার মলদ্বার নেই মুত্রনালীও নেই। শরীরে প্রাণের সঞ্চার থাকলেও মুখে শব্দ নেই। আবার তার মাথার পাশে মাথার সমান টিউমার রয়েছে। অপরদিকে বড় পুরুষ শিশুটির অবয়ব সব ঠিক আছে। কান্না করে, খেতেও পারে। কিন্তু ছোটশিশুটি দুধ খেলেও মলদ্বার মুত্রনালী না থাকায় মুখ দিয়েই বমি করে দেয়। তখন তার বোবা কান্না বুঝা যায় কিন্তু শোনা যায়না। শিশু দুটি একেঅপরের বুক ও পেটের সাথে যুক্ত আছে।
এমন যমজশিশুর জন্ম দিয়েছেন নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের নারায়নপুর মহল্লার দিনমজুর মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী রুপালি খাতুন (২২)। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্থানীয় হাজেরা ক্লিনিকে ডা. আমিনুল ইসলাম সোহেলের সফল অপারেশনের মাধ্যমে ওই যমজশিশু দুটি দুনিয়ার আলো দেখতে পায়। অপেক্ষাকৃত বড় শিশুটি ছেলে বুঝা গেলেও ছোট শিশুটির কোনো লিঙ্গই বুঝা যাচ্ছেনা। অদ্ভুদ আকৃতির এই শিশুদের এক নজর দেখতে তিনদিন ধরে ক্লিনিকের সামনে উৎসুক শতশত লোকের ভিড় জমে থাকতে দেখা যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মা ও যমজশিশু দুটি সুস্থ্য আছে।
জানা যায়, বিয়ের সাত বছর পর রুপালী খাতুনের এবারই প্রথম সন্তান প্রসব। পিতা মোহাম্মদ আলী বড় শিশুটির নাম রেখেছেন মো. আবুজর গিফারী। ছোট শিশুটির লিঙ্গ না থাকলেও তাকে পুরুষ হিসেবেই নাম রাখা হয়েছে মো. আবু দারদা।
চিকিৎসক ডা. আমিনুল ইসলাম সোহেল জানান, এ অবস্থায় ঢাকায় নিয়ে জরুরী ভিত্তিতে অপারেশনের মাধ্যমে তাদের আলাদা করতে না পারলে দুজনই মারা যেতে পারে। শিশু দুটির চিকিৎসা খরচ মেটানোর জন্য দেশের সহৃদয়বান ব্যাক্তিসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন দরিদ্র পিতা মাতা।