মোঃ হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় শ্বশুড় বাড়িতে এসে স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্ধ ও বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে স্বামী পালিয়ে গেছে। গত শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চাচীয়া মীরগঞ্জ গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ মাস পূর্বে চাচীয়া মীরগঞ্জ গ্রামের আব্দুল খালেক লেবুর কন্যা মৌমিতা আক্তার লতার সাথে পাশ্ববর্তী সোনারায় ইউনিয়নের পূর্ব সোনারায় গ্রামের আব্দুল মতিন মিয়ার ছেলে নুর মোহাম্মদ নয়নের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নয়ন যৌতুকের জন্য লতাকে চাপ দিয়ে আসছিল। গত বুধবার সন্ধ্যায় নয়ন শ্বশুড় বাড়িতে বেড়াতে আসে এবং তিনদিন ধরে সেখানে অবস্থান করছিল। আগের দিনের ন্যায় শনিবার সন্ধ্যায় খাওয়া সেরে শ্বশুড়ের শয়ন ঘরের পাশের রুমে নয়ন ও লতা ঘুমিয়ে যায়। গতকাল রোববার সকালে লতার মা ঘুম থেকে জেগে দেখতে পায় মেয়ের ঘরের দরজা খোলা। ভিতরে প্রবেশ করে দেখে জামাই ঘরে নাই এবং মেয়ে কাঁথা মোড়িয়ে উপর হয়ে শুয়ে রয়েছে। মেয়েকে ডাকা-ডাকি করলে কোন সারা শব্দ না করায় কাঁথা সরিয়ে চিত করে দেখতে পায় সে মারা গেছে এবং তার নাকে মুখে রক্ত ও লালা লেগে আছে। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আছে। নিহতের পরিবারের দাবি যৌতুকের কারণে জামাই নয়ন তাদের মেয়েকে হত্যা করে রাতেই পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে লাশের সুরুতহাল তৈরি করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এনিয়ে নিহতের মা গোলেনুর বেগম অজ্ঞতনামা ২ জনসহ ৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছে। থানা অফিসার ইনচার্জ এস.এম আব্দুস সোবহান জানান, আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।