নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রামের কৃষক ওমেদ আলী ওরফে চায়না হত্যা মামলার প্রধান আসামী ও ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত নিজামউদ্দিন (৪৮) পুলিশ হেফাজতে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। বুধবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। চায়না হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার পর তিনি দীর্ঘ আড়াই বছর যাবত রাজশাহী জেলখানায় হাজত বাস করছিলেন। মঙ্গলবার রাতে তিনি হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে জেলখানা কর্তৃপক্ষ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং বুধবার সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিজামউদ্দিন নাটোরের বড়াইগ্রামের নগর ইউনিয়নের দোগাছি গ্রামের মৃত রিয়াজউদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে।
নগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইয়াসিন আলী সরকার জানান, ২০০৬ সালের আগষ্ট মাসে স্থানীয় বিলে মাছ ধরতে জাল পাতাকে কেন্দ্র করে বিবাদ সৃষ্টি হয় নুর মোহাম্মদ ও সোহেল আলী নামের দুই প্রতিবেশীর। এ ব্যাপারে ২ অক্টোবর গ্রাম্য শালিসে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি সৃষ্টি হলে নিজামউদ্দিন তার নিজের বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যা করে ওই গ্রামের ডুমন প্রামাণিকের ছেলে ওমেদ আলী ওরফে চায়নাকে। পরে ২১ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করার পর ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট তারিখে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাসানুজ্জামান মামলার রায়ে ২০ জনকে খালাস ও অভিযুক্ত প্রধান আসামী নিজামউদ্দিনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন।
নগর ইউপি চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিহত নিজামউদ্দিনের লাশ সন্ধ্যায় নিজ গ্রামের সামাজিক কবরাস্থানে দাফন করা হয়েছে।