ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড় গোলচত্বর মুখে সৃষ্ট পচা দূর্গন্ধযুক্ত পানিতে ডুবে থাকা মশা উৎপাদনকারী নর্দমার উন্নয়ন করা জরুরি

ঈশ্বরদী ॥ ঈশ্বরদী,পাবনা এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে চলাচলের একমাত্র দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড় গোলচত্বর। এ গোল চত্বর এবং শিক্ষা ও ব্যবসা সমৃদ্ধ এলাকা দাশুড়িয়া ইউনিয়নকে ঘিরে দীর্ঘদিন আগে গড়ে উঠেছে দাশুড়িা বাজার। ঘনবসতিপূর্ণ এ বাজার এলাকায় ব্যাংক,বীমাসহ বিভিন্ন প্রকার অফিস,স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,কাঁচা বাজার,বৃহৎ আকারের সাপ্তাহিক হাট এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,মিল কল কারখানা,বড় আকারের বাড়ি ঘর,ক্লিনিক,দোকান পাঠ ও কয়েকটি মার্কেট গড়ে উঠেছে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে এ গোল চত্বরের মুখে মহাসড়কের সাথে গত কয়েক বছর থেকে পানি জমে নর্দমার সৃষ্টি হয়েছে। কয়েক বছর থেকে নর্দমার পচা দূর্গন্ধ যুক্ত পানিতে মশা উৎপাদন হয়ে নানা রোগ বালাই ছড়াচ্ছে। সরকার যখন দেশব্যাপি ডেঙ্গু মশা নিধনে তৎপর ঠিক তখন দাশুড়িয়া গোল চত্বরের মুখের মত গুরুত্বপূর্ণ বাজারে মশা উৎপাদন হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক,ব্যাংক বীমায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, দাশুড়িয়া গোল চত্বরের মুখে মহাসড়কের সাথে গত কয়েক বছর থেকে পানি জমে নর্দমার সৃষ্টি হয়ে থাকায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষের চলাচল,দৈনন্দিন কাজকর্ম ও বসবাস করা দুস্কর হয়ে পড়েছে। ব্যাংক বীমায় কেউই আসতে চাননা দূর্ঘটনা ঘটার আশংকায়। সে জন্য এসব প্রতিষ্ঠানও অন্যত্রে সরিয়ে নেওয়ার চ্ষ্টো চলছে। কাস্টমার না থাকায় দোকান মালিকরা দোকান বন্ধ করে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের চলাচলে মারাতœক অসুবিধা হচ্ছে। মিল কলকারখানা,মার্কেট মালিক ও বসবাসকারী বাড়ির মালিকদেরও একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগীদের দাবি,সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খুব দ্রুত ঈশ্বরদী,পাবনা এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে চলাচলের একমাত্র দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড় গোলচত্বরের মুখের সৃষ্ট নর্দমার উন্নয়ন করে পচা দূর্গন্ধ যুক্ত পানিতে মশা উৎপাদন এবং নানা রোগ বালাইয়ের হাত থেকে এলাকাবাসীদের বসবাসসহ সকল প্রকার সুবিধার সৃষ্টি করবেন।