বড়াইগ্রামে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নববধুর আত্মহত্যার চেষ্টা

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
বড়াইগ্রামে প্রেমের বিয়ে মেনে না নেয়ায় বিয়ের চারদিনের মাথায় এক নববধু গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আতœহত্যার চেষ্টার করেছে। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার লক্ষীকোল বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার খাকসা গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে নাঈম হোসেনের সাথে মোবাইলে সিরাজগঞ্জের তরুণী বর্ষার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে গত ০২ সেপ্টেম্বর তারা সিরাজগঞ্জ কোর্টে বিয়ে করে। পরে বৃহস্পতিবার স্ত্রীকে নিয়ে নাঈম বাড়িতে যায়। এ সময় নাঈমের মা বাবা নববধুকে মেনে নিয়ে রাজি হয়নি। পরে নাঈম স্ত্রীকে নিয়ে লক্ষীকোল বাজার এলাকার আতœীয় মিঠুর বাসায় আশ্রয় নেয়। খবর পেয়ে নাঈমের মা বাবা সেখানে গিয়েও বর্ষাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বর্ষা পাশের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় বুঝতে পেরে নাঈমের মা বাবা ও বাসার ভাড়াটিয়ারা ছুটে এসে দরজা ভেঙ্গে সবাই বর্ষাকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলছে দেখেন। পরে দ্রæত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে এবং পরে সেখান থেকে বনপাড়া জয়নব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাঈম জানান, আমরা দুজন দুজনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি। কিন্তু অভিভাবকেরা মেনে না নেওয়ায় আমার স্ত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।
শনিবার বিকালে হাসপাতালের চিকিৎসক সাদ্দাম হোসেন নিবিড় জানান, তার চিকিৎসা চলছে। পরিস্থিতি এখনও শঙ্কামুক্ত নয়। এ সম্পর্কে বনপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নজমুল হক জানান, খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে গিয়ে রোগী দেখে এসেছি। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে