নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের তালবাড়িয়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ১৫ বিঘা আয়তনের দুটি মাছের পুকুরে কিটনাশক প্রয়োগ করে ৩০ লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে তারই আপন ভাই গোলাপ মহুরী ও হাজী আল-মামুনের বিরুদ্ধে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এলাকাবাসীর পক্ষে জাহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, সাজেদুর রহমান, আয়নাল মোল্লা, জুলু মোল্লা, ইউনুস আলী, মজিবর রহমান, হালিম মেম্বার, শাহিন মোল্লা, দুলাল, মিঠুন ও মিল্টনসহ অনেকে বলেন-ওই পুকুর নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসার পর এই ধ্বংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ আলতাফ হোসেন জানান, শুক্রবার বিকেলে ওই দুটি পুকুরে গোলাপ মহুরী ও হাজী আলমামুন বিষ প্রয়োগ করলে কিছুক্ষনের মধ্যেই পুকুরের সব মাছ, পোকামাকর ও জলজপ্রাণী মরে ভেসে ওঠে। টের পেয়ে এলাকার লোকজন পুকুরপাড়ে আসতে থাকলে থানা পুলিশ ওই দুজনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তার পুকুরে বিষ প্রয়োগের ফলে কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকার মাছ নিধন হয়েছে বলে দাবি করেন।
অভিযুক্ত হাজী আলমামুন ও গোলাপ মহুরী বলেন, আলতাফ আমাদেরই আপন ভাই। সে জোরপূর্বক দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ক্রয়কৃত দলিলি পুকুরে মাছ চাষ করে খাচ্ছিল। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে ও থানায় অনেকবার শালিসী বৈঠকও হয়েছে। শালিসের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সে নিজেই পুকুরের সব মাছ তুলে নিয়ে পুকুর খালি করে আমাদের দিয়ে দেয়। পরে আমরা পুকুরের আগাছা পরিস্কারের লক্ষ্যে কিটনাশক ব্যবহার করি।
এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাহারুল ইসলাম বলেন, তালবাড়িয়ার ওই পুকুরপাড়ে একটি সংঘাতের সূত্রপাত ঘটতে যাচ্ছে বলে ফোন পেয়ে বিরোধের নিরশন করে চলে আসে পুলিশ কর্মকর্তারা। তবে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগও দেননি।