// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় গৃহবধূ হত্যা মামলার পলাতক দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সোমবার দিবাগত আড়াইটার দিকে গুরুদাসপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা পাবনা জেলার চাটমোহর থানাধীন ছাইকোলা মিলনচর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, একই উপজেলার মশিন্দা বাহাদুর পাড়ার মৃত শওকত আলীর ছেলে ইউসুফ প্রাং(৬০) এবং ইউসুফ আলীর ছেলে শিপন প্রাং(২০)। সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাটোর র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক সিনিয়র সহকারি পরিচালক সঞ্জয় কুমার সরকার।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো জানানো হয়, ১২ বছর পূর্বে গুরুদাসপুর উপজেলার রানীগ্রাম ফকির পাড়া গ্রামের আসাদ প্রাংয়ের মেয়ে সীমা খাতুনের সাথে গ্রেফতারকৃত আসামী ইউসুফ আলীর ছেলে রতন আলীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ^শুর বাড়ীর লোকজন গৃহবধূ সীমা খাতুনের উপর মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন চালাতো। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও সীমার উপর নির্যাতন বন্ধ হয়নি। গত ২৮ সেপ্টেম্বর শ^শুর বাড়ীর লোকজন সীমা খাতুনকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসাশেষে বাড়ী নিয়ে যায়। পরে বাড়ীতে গিয়ে সীমা খাতুন বমি করতে থাকে। পরে শ^শুর বাড়ীর লোকজন সীমা খাতুন গ্যাস ট্যাবলেট খেয়েছে বলে প্রচার করতে থাকে এবং পরে পুনরায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনিত হলে ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সীমা খাতুনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় সীমা খাতুনের ভাই রুবেল আহমেদ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।