// ওসমান গনি, বেড়া, পাবনা ঃ
যমুনা নদীর ভাঙনে পাবনা বেড়া উপজেলার চরাঞ্চলের ১১টি মৌজার ৩ যুগে প্রায় ১৪ হাজার বিঘা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। যার ফলে এসব চরাঞ্চলে আবাদী জমির পরিমাণ কমেছে। সম্প্রতি সরেজমিনে উপজেলার চরনাকালিয়া, চর সাঁড়াশিয়া ও চর নাগদাহ গ্রামে গেলে কথা হয় ওইসব গ্রামের কয়েকজন রাজনৈতিক, প্রবীণ, জনপ্রতিনিধি ও জমি-জমা, ক্ষেত-খামারের সাথে সম্পৃক্ত চরা সাঁড়াশিয়া গ্রামের কমরেড নজরুল ইসলাম সরকার, ক্ষুদ্র কৃষক সাত্তার ব্যাপারী, খালেক মোল্লা, চর নাকালিয়া গ্রামের আমাজাদ মাস্টার, আ. আজিজ, চর
নাগদাহ গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহিদ মোল্লা, কাদের মোল্লা, ইমদাদুল মোল্লা, চরসাফুল্লা গ্রামের গফুর মোল্লা, আচান মোল্লাসহ অনেকের সাথে। তারা বলেন ১৯৮৮ সালে এসব অঞ্চলে যমুনা নদীর ভাঙন শুরু হয়। সেই থেকে এ পর্যন্ত এসব অঞ্চলে কোন না কোন জায়গায় প্রতি বছর আবার কোন জায়গায় ৩/৪ বছর পরে নদীর ভাঙন চলছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চর পেচাকোলা মৌজায় জমির পরিমাণ ২০০০ বিঘা নদীতে বিলীন ১৮০০ বিঘা, চরনাকালিয়া মৌজায় জমি ১২৫০ বিঘা বিলীন ৭০০ বিঘা, কেসমত নাকালিয়া মৌজায় ৫০০ বিঘা
বিলীন ২৫০ বিঘা, চরসাঁড়াশিয়া মৌজায় ২২০০ বিঘা বিলীন ২০০০ বিঘা, সাঁড়াশিয়া মৌজায় ৩১০০ বিঘা বিলীন ১২০০ বিঘা, হাটাইল আড়ালিয়া
মৌজায় ২৭০০ বিঘা বিলীন ২০০০ বিঘা, খোদাতপুর ৬০০ বিঘা বিলীন ৫০০ বিঘা, চরনাগদাহ মৌজায় ১২০০ বিঘা বিলীন ৫০০ বিঘা, চর পাইখন্দ মৌজায় ৭০০ বিঘা বিলীন ৪০০ বিঘা, চরসাফুল্লা মৌজায় ৭০০০ বিঘা বিলীন ৪০০০ বিঘা, পূর্ব শ্রীকন্ঠদিয়া মৌজায় ৫০০ বিঘা বিলীন ৪০০ বিঘা। এই ১১ টি মৌজায় প্রায় ৩ যুগে যমুনা নদী ভাঙনে আনুমানি প্রায় ২২ হাজার বিঘা জমির মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার বিঘা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়া জমির মধ্যে বিভিন্ন স্থানে চর জেগে উঠে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার বিঘা জমি আবাদী জমিতে পরিণত হয়েছে বলে চরাঞ্চলের লোকজন জানিয়েছেন। তারা আরো বলেন, একদিকে নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে আবাদী জমি অন্যদিকে অনেক চর এলাকায় ৫/৭ ফুট করে পুরো হয়ে বালুর স্তর পরে অনেক আবাদী জমি চাষের অনুপযুগী হয়ে পড়ায় অনেক জমি অনাবাদী হয়ে পড়েছে। এসব অঞ্চলে দিন দিন আবাদী জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। যার কারণে ভবিষ্যৎ চিন্তায় এসব চরঞ্চলের মানুষ শংকিত ও চিন্তিত হয়ে পড়েছে।