// বিশেষ প্রতিনিধিঃ
পাবনায় যানজট পরিস্থিতি এমন ভয়াবহতার ঘুর্ণাবর্তে আবর্তিত হচ্ছে যে, একান্ত বাধ্য না হ’লে কোন সুস্থ বিবেকমান মানুষ এখন আর শহরের আব্দুল হামিদ রোড, আলিয়া মাদ্রাসা থেকে এডওয়ার্ড কলেজ পর্যন্ত , বিদ্যুৎ অফিসের সামনে দিয়ে পৈলানপুর ও বড়বাজারে যেতে চাচ্ছেন না।
সেদিনের সবুজে ঘেরা গাছ-গাছালী আর পাখ-পাখালির সুমধুর কলকাকলিতে মুখর পাবনা শহর যানজটের কারণে আজ আর সুস্থ-সুন্দর পরিবেশে ঘুরে-ফিরে দেখা বা কাজের উদ্দেশ্যে বেরোবার জন্য নয়।
অনিয়ন্ত্রিত গাড়ির গতি, প্রশিক্ষণহীন চালক দিয়ে ভরে গেছে শহর। ইজিবাইক, রিক্সা, মোটরসাইকেল, ভুটভুটিসহ লাগামহীন ও নিয়ন্ত্রণহীন গাড়িতে ভরে গেছে শহর। যেখানে সেখানে যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠা নামা করা। ডানে বামে আগে পিছে না দেখে যেদিকে সেদিকে মোর ঘুরিয়ে দেয়া এসব চালকদের জন্য শহরে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মানুষ। তাই মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে রাস্তায় বিভিন্ন চিহ্ন দিয়ে পথপ্রদর্শন করার উদ্দেশ্যে ইয়োলো ল্যাম্প পাবনার উদ্যোগে ও পাবনা জেলা পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায় সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টায় মিশন হাউসের সামনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আসম আব্দুর রহিম পাকনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শরীফ আহমেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদ আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অতুল মন্ডল।
আরো বক্তব্য দেন টিআই ওয়ান সাদিকুল বারি,
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সোহেল, পাবনা মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম মমিন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য শাওন রেজা খানের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনিসুজ্জামান দোলন, জেলা পরিষদের সদস্য আইরিন কিবরিয়া কেকা, সদর থানা আওয়ামী লীগের সদস্য মাসুদ রানা কালা বাবুসহ এলাকাবাসী।
রাস্তা পারাপারের সময় সব ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পাবনার সকল সড়ক ও মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে রোড ডিভাইডার চিহ্নিতকরণের মধ্য দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমাতে সরেজমিনে মহাসড়কের পাশে বাজার, বাসস্ট্যান্ড, কারখানা, স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা করমচারিরা সড়কের মাঝ দিয়েই পার হয়ে থাকেন। এতে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
মূলত এটি একটি সড়ক দুর্ঘটনার সচেতনতামূলক আলোচনা অনুষ্ঠান ছিলো।
আলোচনা শেষে ডিভাইডার চিহ্নিতকরণের লক্ষে পদচিহ্ন স্থাপনের ফলক উন্মোচন করে উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও অতিথিবৃন্দ।