// মোমিন খান. আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘির মাঠে মাঠে যেদিকেই চোখ যায় শুধু সবুজের সমাহার। আমন ফসলের মাঠ যেন সবুজ চাদরে পরিপূর্ন। চারিদিকে এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। কৃষকের মনে দোলা দিচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। মাঝে মধ্যে বৃষ্টিপাত হলেও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় শস্য ভান্ডার বলে খ্যাত এই আদমদীঘি উপজেলায় এবারও রোপা আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন মিলে এবার ১২ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করা হয়। এরমধ্যে স্বর্ণা-৫, বিনা-১৭, বিআর-৯০ ও সুগন্ধিসহ বেশ কয়েক জাতের রোপা আমন ধান রোপন করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত আমন ক্ষেতে তেমন কোন রোগবালাই দেখা দেয়নি। এর পরেও কৃষকরা জমিতে সতর্কতামুলক কীটনাশক স্প্রে অব্যাহত রেখেছেন। আমন ধানের গাছ ভাল রাখতে ও ধানের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকরা সার্বক্ষনিক জমিতে পরিচর্যা করছেন। সবুজে ঘেরা আমনের মাঠ দেখে যেন এক মূহুর্তের জন্যেও বিশ্রাম নেয়ার ফুরসত নেই কৃষকদের। যেদিকে চোখ যায় সবুজের অপরুপ সমাহার। মাঠে মাঠে হাওয়ায় দুলছে আমন ধানের পাতা, আর আনন্দে দুলছে কৃষকদের মন। বৃষ্টিপাতের পরিমান কম হলেও আমন আবাদের জন্য আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে কৃষকরা। ইতিমধ্যে অনেক জমিতে আগাম জাতের আমন ধানের গামোর বা শীষ বের হতে শুরু করেছে। আমইল গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম, তেতুলিয়া গ্রামের কৃষক টুলু প্রামানিক জানায়, এবার পরিমান মতো বৃষ্টিপাত ও ধানের গাছে পরিমিত ভাবে রোদ লাগায় রোগবালাই কম হয়েছে। ধান গাছের অবস্থা খুবই ভাল বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিঠু চন্দ্র অধিকারি জানান, চলতি মৌসুমে রোপা আমন ক্ষেতে রোগবালাই কম, কৃষকরা কৃষি অফিসের পরামর্শে আবাদের পরিচর্যা করায় এবারও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।