আদিতমারীতে দলিল লেখকের হাতে মহিলা লাঞ্চিত অভিযোগ

// লালমনিরহাট প্রতিনিধি।

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা সাব-রেজিষ্টার আফিসে প্রকাশ্যে এক মহিলাকে লাঞ্চিত করলেন দলীল লেখক  রুহুল।

মঙ্গলবার আদিতমারী সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের সাব-রেজিষ্টারের সামনে এ- ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে আদিতমারী উপজেলার বৈরাগীর ভিটা কিসামত চন্দ্রপুর এলাকার অনিল চন্দ্র মোহন্তের দুই ছেলের মধ্যে জমি ভাগা ভাগি করে দেযার সময় ছোট ছেলে রনজিৎ কুমার ও তার ছেলে চন্দন ও ছোট ছেলে ও স্ত্রী মিলে সু-কৌশলে ৯০ বছরের বৃদ্ধা বাবা কে ভুলিয়ে ভালিয়ে রেজিষ্ট্রেরী অফিসে এনে নিজের নামে জমি লেখে নেওয়ার চেষ্টা চালায়।

খবর পেয়ে বড় ছেলে অতুল চন্দ্র ও তার স্ত্রী,সাব- রেজিষ্টার অফিসে এসে ছোট ভাই রনজিৎ কুমার কে নিষেধ করে। কিন্তু রনজিৎ তার কোনও কথা না শুনে দলীল লেখক কে বলেন আপনী দলীল পার করান কত টাকা লাগবে দিব, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলীল লেখক, রুহুল, কৌশলে জমি দলীল রেজিষ্ট্রেশন করাতে সাব- রেজিষ্টারের নিকট যাওয়ার পথে অতুলের স্ত্রী দলীল লেখক এর হাতে পায়ে ধরে অনুরোধ করে বলেন দাদা আমার শশুরের মাথা ঠিক নেই তার ৯০ উপরে বয়স তাই তাকে যখন যেভাবে বলে তাই করে। দয়া করে ওয়ারিশদের মাঝে সম-বন্ঠনের ব্যবস্থা করুন। কিন্তু লোভী দলীল লেখক রুহুল তার কথায় কর্ণ পাত না করে প্রকাশ্যে তাকে ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয় ও সকলের সামনে মহিলাকে লাঞ্চৃিত করে।

পরে পাশে থাকা লোকজন অতুলের স্ত্রীকে মাটি থেকে তুলে প্রার্থমিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করেন।

এহেন কার্যকলাপের জন্য এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পরে আদিতমারী উপজেলার সাব-রেজিষ্টার বিষয়টি থানায় অবগত করলে আদিতমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের উভয়কে থানায় ডাকেন।

উক্ত ঘটনার জন্য অতুলের স্ত্রী বাদী হয়ে দলীল লেখক রুহুলের নামে নারী নির্যাতনের অভিযোগ করেন।

এর আগে অতুল চন্দ্র ও তার মা শেফালী রাণী বাদী হয়ে সমুদয় জমি সম-বন্ঠনের জন্য আদিতমারী উপজেলা সাব-রেজিষ্টার বরাবরে দরখাস্ত করেন। অনুলিপি জেলা প্রসাশক লালমনিরহাট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আদিতমারী, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আদিতমারী, অফিসার ইনচার্জ আদিতমারী, দলীল লেখক সমতি আদিতমারী,  বরাবরে অনুলিপি দেন। ও অতুল চন্দ্র বাদী হয়ে ভাদাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বরাবরে একটি অভিযোগ করেন।

এদিকে আদিতমারী সাব,-রেজিষ্টারের সদইচ্ছা বা উভয় শরীকদের সম-বন্থাঠনের সদ ইচ্ছা না থাকায় দলীল লেখক, রুহুল অফিসের সামনে এ আপত্তিকর নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটান বলে মন্তব্য করেছেন আদিতমারী উপজেলার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সুশীল সমাজ। সৃষ্ট ঘটনায় এলাকাবাসী দলীল লেখক রুহুলের লাইসেন্স বাতিলের দাবী জানিয়েছেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আদিতমারী থানায় দু” পক্ষকে ডেকেছেন ও বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য বসেছেন থানা পুলিশ।

এব্যপারে আদিতমারী সাব-রেজিষ্টার রাশেদুজ্জামান সঙ্গে মুঠো ফোনে আলোচনা করার চেষ্টা করে ও কয়েক বার ফোন দিলে ও তিনি রিসিভ করেন নাই।