// ইয়ানূর রহমান : পৃথক দুই মামলায় বেনাপোলের চার জনের অস্ত্র আইনে পৃথক মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জয়ন্তী রানী দাস ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তাজুল ইসলাম এ সাজা প্রদান করেন।
কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলো, বেনাপালের ভবেরবেড় গ্রামের মোসলেম আলীর ছেলে ইব্রাহিম হোসেন, নামাজগ্রামের মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে শাহারিয়ার দিপু ওরফে লালন, ঘিবা গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে সবুজ হোসেন ও একই গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে শাহাজামাল হোসেন ওরফে ইমরান।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ৬ জুন গভীর রাতে বোনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কাছে অস্ত্র বেচাকেনার সময় সাদীপুর খেয়াঘাটপাড়া থেকে হাতে নাতে আটক হয় ইব্রাহিম হোসেন ও শাহারিয়ার দিপু। এ সময় তাদেরকাছথেকে একটি দেশীয় রিভারবার উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় বোনপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন এসআই এসএম আশরাফুল আলম। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের জুনে আদালতে ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন। বৃহস্পতিবার এ মামলার রায়ঘোষনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জয়ন্তীরানী দাস আসামিদের ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।
এছাড়া, ২০১২ সালের ২৩ ডিসেম্বর একটি মোটরসাইকেল ছিনতাই করে পালিয়ে যায় সবুজ ও ইমরান। পুলিশ জানতে পেরে তাদের ধাওয়া করে। এসময় আসামিরা সূবর্নখালী গ্রামে বেতনা নদী পার হয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে ধরে গনপিটুনি দেয়। পুলিশ এসে তাদেরকে আটক করে। আসামিদের কাছ থেকে একটি পিস্তল ও একটি ম্যাগজিন ও গুলির খোসা উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় এসআই জহির রায়হান বাদী হয়ে শার্শা থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে এসআই শাবুদ্দীন গাজী আদালতে চার্জশিট দেন। বৃহস্পতিবার রায়ঘোষনার দিনে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তাজুল ইসলাম দুই আসামিকেই ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।
আসামি চারজনই পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।#