// বইয়ের গন্ধে নাক ডুবিয়ে অবসর সময় কাটানো হয়ে ওঠে না এখন আর। আমাদের সময়গুলো যেন সব দখল করে নিয়েছে মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেট। গ্যাজেটে মগ্ন থাকার কারণে বাড়ছে হতাশা ও বিষণ্ণতার মতো সমস্যা। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য বই পড়ার অভ্যাস থাকা ভীষণ জরুরি।
দিনের কিছুটা সময় বইয়ের সঙ্গে কাটালে ভালো থাকবে শরীর ও মন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ডিজিটাল এই যুগে প্রায় হারিয়ে যাওয়া বই পড়ার অভ্যাস কীভাবে ফিরিয়ে আনা যাবে, জেনে নিন প্রয়োজনীয় কিছু কৌশল।
বই পড়ার জন্য ঘরের একটি কর্নার সুন্দর ভাবে সাজিয়ে নিতে পারেন। আরামদায়ক বসার জায়গা এবং পর্যাপ্ত আলো থাকবে নির্দিষ্ট সে কর্নারে। বাইরে থেকে শব্দ কম আসে এমন স্থান বেছে নিতে হবে। নিজের পছন্দ মতো ডেকোরেশন করে নিতে পারেন। কয়েকটি ইনডোর প্ল্যান্ট, পছন্দের নকশার বুকশেলফ, কফির মগ ও বই রাখার জন্য একটি টেবিল- ব্যস! কফির মগে চুমুক দিতে দিতে পছন্দের কোনও বই হাতে হারিয়ে যান কল্পনার রাজ্যে!
প্রতিদিন কতটুকু সময় কাটাবেন বইয়ের সঙ্গে সেটা ঠিক করে নিন। শুরুতেই খুব বেশি সময় বরাদ্দ না রেখে ধীরে ধীরে সময় বাড়ান। প্রথম দিকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন বই পড়ার জন্য। এরপর দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় নির্দিষ্ট করুন। দেখবেন আস্তে আস্তে বইয়ের সঙ্গ উপভোগ করতে শুরু করেছেন।
বই নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিন। যে ধরনের বই পড়তে আপনি সত্যিকার অর্থেই আগ্রহ বোধ করেন, বেছে নিন সেই ধরনের বই-ই। সেটা হতে পারে কল্পকাহিনী, কবিতার বই, প্রেমের গল্প বা গোয়েন্দা কাহিনী।
মোবাইল ও নানা ধরনের গ্যাজেটের জন্য বরাদ্দ রাখা সময় ধীরে ধীরে কমিয়ে ফেলুন। সেই সময়টুকু কাজে লাগান বই পড়ে। বই পড়ার কর্নারে গ্যাজেট রাখবেন না।
প্রতিদিন একই সময়ে বই পড়ুন। সেটা হতে পারে রাতে ঘুমানোর আগে অথবা দুপুরে বিশ্রামের সময়। ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিণত হবে বই পড়া।
বিভিন্ন ধরনের বুক ক্লাব বা অনলাইন রিডিং কমিউনিটি রয়েছে। সেগুলোতে যোগ দিতে পারেন। বই নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকে এগুলোতে। ফলে বই পড়ার আগ্রহ তৈরি হয়।
বই পড়ার অভ্যাস রাতারাতি হবে না, এটা মনে রাখতে হবে। ধৈর্যহারা হলে চলবে না। হঠাৎ কোনও কারণে বই পড়তে ইচ্ছা না করলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।