// স্টাফ রিপোর্টারঃ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি ( বেলা) এর আয়োজনে খনন ও উচ্ছেদের ৭ কোটি টাকা ফেরৎ যায়ার প্রতিবাদে এবং ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিতকরণ প্রকল্পের কাজ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে করার দাবীতে সেমিনার অনুষ্ঠিত। গতকাল ( ১৩ জুন) বেলা ১১ টায় পাবনা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের কনফারেন্স রুমে ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার সভাপতি এস এম মাহবুব আলম এবং সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রেজাউল রহিম লাল। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলনের কার্যকরী কমিটির সদস্য বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল বলেন, মহান রাব্বুল আলামিনের ইচ্ছায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পাবনায় মহামান্য রাস্ট্রপতি এবং মাননীয় ডেপুটি স্পীকার দিয়েছেন। পাবনায় অনেক কিছু করার আছে। পাবনা থেকে ঢাকায় সরাসরি ট্রেন‘র ঘোষণা দিয়ে গেছেন মহামান্য রাস্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন । অচিরেই ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিত করণের কাজ শুরু হবে। মহামান্য রাস্ট্রপতির এলাকায় উন্নয়নে আর কোন বাধা নেই। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলাম বলেন, মহামান্য রাস্ট্রপতির সাথে বাল্যকাল থেকে বড় হয়েছি। আন্দোলন সংগ্রামে একসাথে থেকেছি। এবার পাবনার উন্নয়নে একসাথে কাজ করবো ইন্শআল্লাহ। তিনি বলেন ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিতকরণের জন্য ১৭৩৫১৬.০০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন মহামান্য রাস্ট্রপতি। তাতে অনুমোদন দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এ প্রকল্পটি এ মাসেই একনেকের বৈঠকে পাশ হবে ইনশআল্লাহ। পাবনার ইছামতি খনন কাজে অনেক বার অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। পাবনাবাসীর আকাংখা পুরনে এবার কাজটি যে মাধ্যমে সম্ভব সে মাধ্যমেই করা হবে । সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পাবনা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ অধ্যক্ষ ইঞ্জিঃ মো: সিদ্দিকুর রহমান, বেলা‘র রাজশাহী অঞ্চলের ফিল্ড অফিসার মো: সাইফুল ইসলাম, ইমাম গাযযালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ সুরাইয়া সুলতানা, পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুব মোর্শেদ বাবলা। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন পাবনা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের চীফ ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগী প্রধান ইঞ্জিঃ মো: শাহ আলম এবং নন টেক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আলী আকবর রাজু, শহীদ এম মনছুর আলী ডিগ্রি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. আল আমিন, সাঁথিয়া মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মনছুর আলম,বেলা নেটওয়ার্ক সদস্য জেবুন্ন্ছো ববিন ও শফিক আল কামাল, শহীর আহমেদ রফিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়রে প্রধান শিক্ষক হেলেনা খাতুন, হাজেরা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক বুরহানুল ইসলাম, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি হাসান আলী, বঙ্গবন্ধু পরিষদ পাবনা উপজেলা শাখার সভাপতি সাবেক প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন,মানবাধীকার কর্মী প্রধান শিক্ষক হাসিনা আখতার রোজী, আদর্শ গার্লস হাই স্কুল সহকারী প্রধান শিক্ষক উম্মে সালমা কোহিনুর,শিক্ষানবিশ আইজীবি মীর ফজলুল করিম বাচ্চু, পাবনা প্রগতি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এম.এ ছালাম, বাঁচতে চাই নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রব মন্টু, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা শফিউদ্দিন মিয়া, ওয়াইডাব্লওসিএ সাধারণ সম্পাদক হেনা গোস্বামী,উত্তরণ পাবনার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলমগীর কবীর হৃদয়, সূচনা সমাজ কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক পূর্ণিমা ইসলাম,কৃষিবিদ জাফরসাদেক, ইছামতি থিয়েটারের পরিচালক ভাস্কর চৌধুরী, লেখক ও সংগঠক বেগম ফিরোজা খান, মুক্তদৃস্টি সাহিত ও সংস্কৃতিক পরিষদ সাধারণ সম্পাদক মমতাজ রোজ কলি, পাবনা জেলা মহিলা পরিষদের আপ্যায়ন সম্পাদক মনজু আরা ইয়াসমিন, নাজিরপুর মহিলা উন্নয়ন সংস্থার সভানেত্রী নাজিরা পারভীন, জীবন বীমা কর্পোরেশনের ডিও আজিজা পারভীন,মহিয়সীর সত্ত্বাধিকারী রেহানা সুলতানা শিল্পী, উদ্দীপনা মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচারক আলেয়া ইয়াসমিন,কারিগরি মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মনোয়ারা পারভীন,কবি মধুসূদন মজুমদার, রাবেয়া আক্তার রেবা, বাতাং সংস্থা ইউএনএস র্বাতা সম্পাদক এস পারভেজ, চ্যানেল ২৩ এর জেলা প্রতিনিধি হুমায়ুন রাশেদ, আনন্দ টিভির আলামিন হোসেন,সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম, দেব। মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন: বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারনে ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিত কাজ বার বার বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।অপচয় হয়েছে সরকারের কোটি কোটি টাকা। আগামীতে যে প্রকল্প আসছে তা কোন মতেই পানিউন্নয়ন বোর্ডের হাতে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। কাজটি অবশ্যই সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে করতে হবে।অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন সিএনএফ টিভির চেয়ারম্যান খালেদ আহমেদ।