ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুল ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগ প্রধান শিক্ষক দাদার বিরুদ্ধে কাউকে বলে দিলে মা তোর চোখ অন্ধকরে দিবে

জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৪র্থ শ্রেণীর (১২) এক ছাত্রের সাথে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সম্পর্কে প্রতিবেশী দাদা হয় বলে জানা গেছে।

ছাত্রের বোন মললিকা বলেন, হরিপুর উপজেলার দেবরাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সদানন্দ আমাদের সম্পর্কে প্রতিবেশী দাদা হয়, তিনি আমার ভাইয়ের সাথে আগে অনেক খারাপ কাজ করেছে, যখন খারাপ কাজ করা শেষ হয় তখন বলে যে এই কথা কাউকে বলবি না, যদি বলে দিস, তাহলে তোমার চোখ ‘কালী মা, তুলে নিবে, তুমি অন্ধ হয়ে যাবে।

এই কথা শুনার পর থেকে আমার ভাই কাউকে কোনো কথা বলেনি। গতকাল সকালে আমার ভাত খাওয়ার আগে আমার মাকে সবকিছু বলে এবং তখন তাকে নিয়ে রানীশংকৈল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায় আমার বাবা এবং মা।

দাদা বিষনু চন্দ্র দাস এবং দাদী জানান, সদানন্দ আমার নাতিকে দীর্ঘ দিন যাবৎ পাইখানার রাস্তা দিয়ে খারাপ কাজ করে আসছিলো, এখন রক্ত যাচ্ছে তাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করছি। একইভাবে কথা বলেন ভিক্টিমের দাদী। দীর্ঘ দিনের এইসব কাজের সুুষ্ঠ বিচার চাই তারাঁ।

ছাত্রের চাচা চাচি বলেন, ঘটনা সত্য স্বীকার করে বলেন এই কাজের সাথে প্রধান শিক্ষক সদানন্দ জরিত। তাকে গ্রেফতার করলে ঘটনার সত্য বের হয়ে আসবে।

সদানন্দ মানুষ না, সে যে কাজ করেছে তাকে চরমভাবে শান্তি দিতে হবে।

সরেজমিন জানা যায়, সদানন্দ স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যায় বলে জানান সদানন্দের স্ত্রী।

এরপর রানীশংকৈল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে চিকিৎসকরা জানান যায়, 

১২বছরের এক বালককে নিয়ে তার পিতা মাতা গত ১মার্চ সকালে হাসপাতালে আসলে ঘটনার বিবরণ শুনে কার লোকজন তাকে  পেট ব্যাথার কারণ দেখিয়ে ভর্তি করে। ২মার্চ সকালে তারা ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি আসার কথা বলে আমাদের প্রতিবেদকের সাথে দেখা না করার জন্য সদানন্দের লোকজন তাদেরকে দূরে সরিয়ে দেয়।

বলৎকার হওয়া বালকের পাশে ভর্তি ছিলো রানীশংকৈল উপজেলার এক ব্যক্তি তিনি জানান যে ঘটনা আমাকে সবখুলে বলেছে রাতে, আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করতে গেলে ফিরে এসে দেখি তারা চলে গেছে। 

হরিপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা জাহিদ সাগর বলেন, আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসা করা হয়েছে প্রধান শিক্ষক সদানন্দর কে তিনি ঘটনার সততা অস্বীকার করেছেন।

হরিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ তাইজুল ইসলাম বলেন, ছাত্র বলৎকার এমন ঘটনা শুনা যাচ্ছে তবে অভিযোগ এখনো আসেনি অভিযোগ আসলে আইনগতভাবে ব্যবস্তা নেওয়া হবে।