// সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মালয়েশিয়ায় পাঠানোর কথা বলে নানা লোভনীয় অফার দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সংঘবদ্ধ এক প্রতারক চক্র। মালয়েশিয়ায় পাঠানোর কথা বলে টাকা আত্মসাৎ,টাকা ফেরতের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার। সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সায়দাবাদ ইউনিয়নে বড় সারটিয়া গ্রামের প্রতারকের বাড়ির সামনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী রায়হান আলী ও মনিরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বড় সারটিয়া গ্রামের আতাব আলী ও তার ছেলে সবুজ আলী নিজ গ্রাম, সয়দাবাদ,বালুকুল,ভারাঙ্গা,রয়নাপাড়া,বাগবাড়ি গ্রাম থেকে বিদেশ পাঠানোর নামে ২২ জনের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎকারী সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূল হোতা পিতা-পুত্রসহ তিন জন। তারা দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। তারা আমাদের একেক জনের কাছ থেকে দেড় লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার নিয়েছে। ভুয়া মেডিক্যাল করিয়েছে দুই বার করে কিন্তু আমাদের বিদেশ নিতে পারে নাই। বর্তমানে সবুজ মালয়েশিয়া পালিয়ে গেছে। তার বাবার কাছ থেকে টাকা চাইতে গেলে টাকা ফেরত না দিয়ে তালবাহানা করছে এবং বিভিন্ন সময় নানান ভাবে হয়রানি করছে। আমার যেহেতু বিদেশে যেতে পারলাম না আমাদের টাকা আমরা ফেরত চাই।
ভুক্তভোগীদের তারা প্রথমে জানান মালয়েশিয়া তাদের কোম্পানি রয়েছে এবং সেখানে কিছু সংখ্যক লোক পাঠানো হবে। মালয়েশিয়ার কোম্পানিতে ভালো বেতন ও বছরে দুটি বোনাস এবং থাকা-খাওয়া ফ্রি-সহ বিভিন্ন লোভনীয় অফার দেয় তারা। এমন লোভনীয় কথা বিশ্বাস করে ভুক্তভোগীরা তাদের কাছে পাসপোর্ট ও টাকা জমা দেন। পাসপোর্ট ও টাকা হাতিয়ে নিয়ে এ চক্র ভুক্তভোগীদের সঙ্গে টালবাহানা করতে থাকে।
তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ায় ভুক্তভোগীরা তাদের বাড়িতে গেলে তারা গালি-গালাজসহ অশোভনীয় আচরণ করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশ্রয় নিতে গেলে ভুক্তভোগীদে প্রাণনাশেরও হুমকি দিতেন তারা। এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউসুফ আলী, আবুল হোসেন আকন্দ, জাকির হোসেনসহ প্রমুখ।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক শমর কুমার আচার্য্য জানান, ৯৯৯ কল পয়ে ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম। পর্বর্তিতে ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।