// ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
ঈশ্বরদী ইপিজেডে জাপানী পোষাক তৈরির কারখানা ‘নাকানো ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানী লিমিটেডে’র দোভাষী ও এক্সিকিউটিভ অফিসার সুইটি আক্তারের অপসারণ, বেতন-বোনাস বৃদ্ধি ও শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন কারখানার শ্রমিকরা। সোমবার (২৭ মার্চ) সকাল ৮.৩০ মিনিটের দিকে প্রতিষ্ঠানের প্রায় দেড় সহস্রাধিক শ্রমিক-কর্মচারি কারখানা থেকে একযোগে বেরিয়ে দোভাষী সুইটি আক্তারের অপসারণের দাবিতে শ্লোগান ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। প্রায় ৪ ঘন্টা ব্যাপী বিক্ষোভের সময় শ্রমিকরা নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধেও শ্লোগান দেন।
শ্রমিকরা জানান, নাকানো ইন্টারন্যাশনালের দোভাষী ও এক্সিকিউটিভ অফিসার সুইটি খাতুন শ্রমিকদের নানাভাবে হয়রাণি ও লাঞ্ছিত করেন। তার অত্যাচারে শ্রমিকরা অতিষ্ঠ। তাকে দ্রুত অপসারণ করতে হবে। কথায় কথায় শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ ও বেতন-বোনাস বৃদ্ধি করতে হবে। শ্রমিকরা আরও জানান, ছুটির দিনেও সুইটি আক্তার শ্রমিকদের চাকুরি করতে বাধ্য করেন। নিয়মানুযায়ী ওভারটাইম দেওয়া হয় না। কোন শ্রমিকের আত্মীয়-স্বজন মারা গেলে বা নিজেরা অসুস্থ হলেও তিনি ছুটি দিতে চান না। কোন কাজে কেউ সামান্য ভুল করলে ৫০০-১০০০ জরিমানা করেন। মাতৃত্বকালীন ছুটি না দিয়ে নারীদের চাকুরিচ্যুত করেন সুইটি।
পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম জানান, সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। দুপুর দেড়টার দিকে দাবি পূরণের আশ্বাস পাওয়ার পর শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন।
ঈশ্বরদী ইপিজেডের (বেপজা) জেনারেল ম্যানেজার আনিসুর রহমান জানান, দোভাষী সুইটি আক্তারের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের অভিযোগ গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। চাকুরি বিধি অনুযায়ী সুইটি আক্তারকে অপসারণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শ্রমিকদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য যে দাবি দাওয়া রয়েছে, এগুলো নিয়েও নাকানো ইন্টারন্যাশনালের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানান তিনি।