স্টাফ রিপোর্টারঃ পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আ স ম আব্দুর রহিম পাকন বলেছেন, পাবনার ঐতিহ্যবাহী ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিত করণে সেনাবাহীনী মোতায়েন করা প্রয়োজন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের পাবনাবাসীর প্রাণের দাবী মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়নে সি এস ম্যাপ অনুযায়ী পাবনার ইছামতি নদীর দুপাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং খননকাজে পানিউন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারনে আজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। ইছামতি নদীর দু‘পাড়ে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী সিএস ম্যাপ ধরে সীমানা নির্ধারন করে সীমানা পিলার বসাতে হবে। জেলা পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ^াস রাসেল হোসেন ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিত করনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তাকে বার বার তাগিদ দেওয়ার পরও পানি উন্নয়ন বোর্ড তা কর্ণপাত করছেননা। এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ যে খানে বাস্তবায়ন হবে না সেখানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও থাকতে পারবেন না। ইছামতি নদীর দুপাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তা সম্পন্ন করতে হবে। ইছামতি নদীর দু‘পড়ে উচ্ছেদকৃত স্থানে পুনরায় নতুন নতুন রিসোর্ট তৈরী, নতুন নতুন ঘর নির্মাণ দেখে মনে হয় দেশটা মগের মুল্লুকে পরিনত হয়েছে। এ জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি। পাবনার উন্নয়নে তথা ইছামতি নদী উদ্ধারে যা যা করণীয় তা করতে আমরা প্রস্তুত। যারা নদী দখলের প্রতিযোগিতায় নতুন করে অর্থ ব্যয় করে ঘর নির্মাণ করছেন তারা থেমে যান। নদীর জায়গা ছেড়ে দিন। নদীর জায়গা ১৮ কোটি লোকের সম্পদ। মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে পাবনার ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিত করা হবে। এক ইঞ্চি জায়গাও ছাড় দেওয়ার সুযোগ নাই। কাজ না করে সরকারি টাকা নিজেদের পকেটে ভরার কোন সুযোগ নাই। পানি উন্নয়ন বোর্ড‘র কর্মকর্তাদের উদাসিনতায় পাবনার উন্নয়ন থেমে যাবে আর পাবনাবাসী চেয়ে চেয়ে দেখবে তা হয়না। প্রয়োজনে কর্মকর্তাদের বিদায় করে নতুন কর্মকর্তা আনা হবে।গতকাল শনিবার ( ৭ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার আয়োজনে এক র্যালি ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আসম আব্দুর রহিম পাকন উক্ত কথাগুলো বলেন। ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলনের সভাপতি এসএম মাহবুব আলম এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব এর সঞ্চালনায় মহামান্য হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করে ইছামতি নদী পূনরুজীবিত করার দাবিতে করে আরোও বক্তব্য দেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ জেবুন্নেছা ববিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মনছুর আলম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছাঃ হেলেনা খাতুন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মাহিমা বিশ্বাস মাহি, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম বিজলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. আল আমিন, সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আব্দুর রব মন্টু, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুইট, বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের সহ-সভাপতি হাসান আলী,ইছমিতি নদী উদ্ধার আন্দোলনের সর্ব সদস্য খয়েরসুতি উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (অবঃ) মোঃ জিয়াউল হক, ইসলামিয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক শরিফুল আলম, আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (অবঃ) মোঃ আমানুল্লাহ খান, পাবনা পৌরসভার স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ফরিদা ইয়াসমিন, থিয়েটার ৭৭ এর পরিচালক ভাষ্কর চৌধুরী, সদর উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাজাহারুল ইসলাম মুন্নু, উত্তরণ সাহিত্য আসরের সভাপতি আলমগীর কবির হৃদয়,সর্ব সদস্য শফিউদ্দিন মিয়া,মধুসূদন মজুমদার, রবিউল ইসলাম রবি, সাইদুল ইসলাম, আলী আকবর মিয়া রাজু, নাছিমা খন্দকার, রেকাত আলী সুমন, সেলিম মোর্শেদ রানা, মাসুদ রানা, আসিফ মাহমূদ, সবুজ মোল্লা, নূর হোসেন, মনোয়ার হোসেন বকুল, সুমন হোসেন, আসাদ বাবু, মাজহারুল ইসলাম, মেহজাবিন, আহসান ইফতে সাম, হুমায়ুন রাশেদ,আর কে আকাশ, খালেদ আহমেদ, , উত্তরণ সাহিত্য আসরের সদস্য শ্রাবন্তী মায়া, রনি বিশ্বাস, নিলীমা নীল, সাংস্কৃতিক কর্মী জিয়াউর রহমান, বিং হিউম্যান সভাপতি শোআইব আহমেদ, সর্ব সদস্য সামিউর রহমান, আরিফ হাসান, সাআদ আল সামী, মিথিলা আক্তার মিতু, ফাতেমাতুজ মার্জিয়া, মিমি বিশ্বাস, আয়েশা আক্তার, বর্ষা আক্তার, বর্ণা খাতুন, সিফাত রহমার, রবিন হোসেন, মুশফিক আহমেদ তূর্কী, ব্যবসায়ি শরিফুল আলম, মোঃহাফিজ, রাসেল বিশ্বাস প্রমুখ ।