সঞ্জু রায়, বগুড়া: বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় তিন ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন শুরু করায় অ্যাসকেভেটর চালককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাকে ঘটনাস্থল থেকে আটকের পর এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে দশদিনের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। তিনি জরিমানা টাকা দিতে না পারায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডেরাহার কড়ইতলা গ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রায়হানুল ইসলাম। এসময় জমির মালিক নন্দীগ্রাম বৈলগ্রামের বাসিন্দা ইউনুস আলীসহ মাটি উত্তোলনে জড়িত অন্যরা পালিয়ে যান। পরে মাটি তোলার কাজে ব্যবহৃত অ্যাসকেভেটরের দুটি ব্যাটারি ও চাবি জব্দ করা হয়।
সাজাপ্রাপ্ত অ্যাসকেভটের চালকের নাম সুজন আলী। তিনি নাটোর সদর উপজেলার গোয়ালদিঘী কৃষ্ণপুর এলাকার আসলাম মন্ডলের ছেলে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রায়হানুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় অবৈধভাবে পুকুর খনন করলে তাদের শাস্তি হবেই। এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, দন্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তিকে জেলে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।