কমলগঞ্জে আহমদ নগর দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ

কমলগঞ্জ উপজেলার ২নং পতনউষা ইউনিয়নের অর্ন্তগত আহমদ নগর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ আলম মিয়া চৌধুরী এর বিরুদ্ধে নাম সংশোধনের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে। একের পর এক অনিয়ম ও দুর্ণীতর কারণে এলাকার ছাত্র ও সচেতন মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সুপারের গাফিলতির কারণে এম.এ.হাসান নামীয় এক শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন নষ্ট হওয়ার পথে। জানা গেছে- ২০২০-২০২১ইং সেশনে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা এর অধিনে ঐ শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পাস করেন। কিন্তুু, দাখিল পরীক্ষার সনদপত্রে দেখা যায়, তার পিতার নাম মোহাম্মদ আকলু মিয়া এর স্থলে ঃ আকলু মিয়া এবং মাতার নাম মোছা ঃ শাফিয়া আক্তার এর স্থলে ঃ শাফিয়া বেগম লেখা রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিক্ষার্থীর প্রবাসী পিতা মোহাম্মদ আকলু মিয়া জানান- আহমদ নগর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ আলম মিয়া চৌধুরী ইচ্ছাকৃত ভাবেই ছাত্রদের নাম ভুল করে রেজিষ্ট্রেশন করেন। এভাবে আরো একাধিক ছাত্র ভুক্তভোগী। বিগত জে.ডি.সি পরীক্ষার সনদপত্রে একই ভাবে ভুল লিপিবন্ধ করা হলে মাদ্রাসার সুপার মোঃ আলম মিয়া চৌধুরী ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে (নোটারী পাবলিক, রেজি নং- ৪৪২/২১, তারিখ ঃ ০৮/০৬/২০২১ইং) উক্ত নাম সংশোধন করেন। যেখানে হাজার টাকায় সংশোধন করা যায়, সেখানে ১০ হাজার টাকা আদায় করেছেন। পুনরায় নাম সংশোধনের নামে হয়রানী করে বিপুল পরিমান টাকা আদায় করার জন্যই একই ভাবে ভুল নাম রেজিষ্ট্রেশন করেছেন। তিনি সময় মতো সংশোধন করলে সমস্যাটি হতো না। তার নিকট বার বার গেলেও কোন সমাধান করেননি। উল্টো ছাত্রকে এ বিষয়ে কথা না বলার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। ছেলেটি লেখা পড়া এখন ছেড়ে দিতে চাইতেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আহমদ নগর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ আলম মিয়া চৌধুরী ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে জে.ডি.সি পরীক্ষার সনদপত্র সংশোধনের কথা মুঠোফোনে স্বীকার করে বলেন- সময় মতো সংশোধনী কাগজপত্র দাখিল না করায় এ সমস্যা হয়েছে। নিজ দায়িত্ব নিয়ে সংশোধন করে দিব।