মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ র্যাব-৯ এর অভিযানে গত ২১ নভেম্বর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, শ্রীমঙ্গল ক্যাম্প, মৌলভীবাজার এর একটি আভিযানিক দল রাজনগর থানার অর্ন্তগত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ৩জন পলাতক আসামীকে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানাধীন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রাজনগর উপজেলার সরামপুর গ্রামের আনছার আলী রুশন এর পুত্র রাকিন আহমদ বাবু (১৮), ফাহাদ আহমদ (২০) ও রাকিম আহমদ (২০)। সর্ব পিতা- আনছার আলী রুশন, সাং- সারমপুর, থানা- রাজনগর, জেলা- মৌলভীবাজারদের গ্রেফতার করে। র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার সিনিয়র এএসপি আফসার আল আলম দুপুরে এক প্রেসবিজ্ঞাপ্তিতে জানায়- র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ বিশেষ করে হত্যা মামলা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে আসছে। হত্যাসহ যেকোন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধে র্যাবের প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে জনসাধারণের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গত ১৮ নভেম্বর শুক্রবার পারিবারিক কলহের জের ধরে আপন চাচা ও চাচাতো ভাই কর্তৃক ভিকটিম সাদিকুর রহমান (২১) কে প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তার উপর ধারালো ছুরি দিয়ে পিঠের বাম পাশে এবং ডান হাতের কবজির উপরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। ভিকটিমের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে, ভিকটিমকে গুরুতর জখমী অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম সাদিকুর রহমান (২১) কে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় ভিকটিমের আপন বড় ভাই বাদী হয়ে ঐদিন ৪ জনের বিরুদ্ধে রাজনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৯ তার গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জেলার বড়লেখা থানাধীন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে।