নাটোরের পাল্টাপাল্টি মামলায় নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদসহ ৩জন কারাগারে


নাটোরের নলডাঙ্গায় নিহত ছাত্রলীগ নেতা জীবন হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকা আসামী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার ভাই ফয়সাল ফটিককে অপর একটি মামলায় জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। নিহত জীবনের বাবা ফরহাদ হোসেন ও তার চাচা ডাঃ শাহীনকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিটের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে ওই মামলায় নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন চেয়ারম্যান আসাদ ও তার ভাই ফয়সাল ফটিকসহ ১৪ অভিযুক্ত আসামী। এ সময় বিজ্ঞ বিচারক মেহেদী হাসান জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার ভাই ফয়সাল ফটিককে জেল হাজতে পাঠানোর নিদের্শ দেন। আর অন্যদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
আসাদুজ্জামান আসাদ ও ফয়সাল ফটিক নলডাঙ্গা উপজেলার রামশারকাজীপুর গ্রামের মোঃ আনিছুর রহমান শাহ’র ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর রোববার দুপুরে নিহত জীবনের বাবা মোঃ ফরহাদ হোসেন ও তার চাচাতো ভাই ডাঃ শাহিন জিডি করার উদ্দেশ্যে নলডাঙ্গা থানায় যাচ্ছিলেন। পথে নলডাঙ্গাস্থ অধীরের মোড়ে পৌছালে আসাদুজ্জামান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। এতে আহত হন ফরহাদ হোসেন ও ডাঃ শাহিন। পরে এই ঘটনায় আহত ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই এসএম ফকরুদ্দিন ফুটু বাদি হয়ে আসাদুজ্জামান আসাদকে প্রধান আসামী করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে ২৯ অক্টোবর শনিবার নলডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে গত ২৩ অক্টোবর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের ওপর হামলার অভিযোগে তার মা ফিরোজা বেগমের করা পাল্টা মামলায় মোঃ শাহিন শাহ কেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শাহিন শাহ রামসার কাজিপুর গ্রামে মৃত জেহের শাহ ছেলে।
দুপুরে মামলার আসামীরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। মামলায় ৬৯ জনকে আসামী করা হয়েছে।