// এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: ” উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ” স্লোগানে দিনাজপুরের…
Category: রংপুর
বেগম রোকেয়া দিবসে খানসামায় সম্মাননা স্মারক, সনদ ও ফুলে জয়িতাদের সংবর্ধনা
// এস.এম.রকি, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : নারীর জন্য বিনিয়োগ, সহিংসতা প্রতিরোধ স্লোগানে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ…
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৯
// জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: প্রাইমারির সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ঠাকুরগাঁওয়ে ডিজিটাল ডিভাইস ও মোবাইল ফোনসহ ৯ জনকে…
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব:) আব্দুল মালিক স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত
// মনজিল আলম শিমুল, দিনাজপুর প্রতিনিধি :ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট…
ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ৩ দিন পরে পুকুর থেকে রহস্যময় শিশুর লাশ উদ্ধার
// জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও :ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ৩ দিন পরে আব্দুল্লা নামে ৬ বছরের রহস্যময় শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের কৃষ্টপুর নামক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আব্দুল্লা ঐ এলাকার মাসুদ আলির ছেলে। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারসহ ঐ এলাকায় শোকের মাতম চলছে, আর্তনাদে ফেটে পড়ছেন শিশুটির মা সহ আত্মীয় স্বজনেরা। তবে ঘটনাটি নিয়ে ঐ এলাকায় নানা রহস্য ও ধোয়াসায় ঘোরপাক খাচ্ছে। জানা যায়, গত রবিবার সকাল ১১ টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি আব্দুল্লা। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পাওয়া গেলে ঐ দিনই ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে শিশুটির বাবা মাসুদ। আজ মঙ্গলবার সকালে শিশুটির দাদা পুকুর পাড়ে শিশুটির ভাসমান লাশ দেখতে পায়। পরে অর্ধগলিত শিশুর মরদেহটি উদ্ধার করে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর সূত্রে আরো জানা যায়, শিশুটির বাবা মাসুদের সাথে রুনা বেগমের বিয়ে হয় ২০১৬ সালে। পারিবারিকভাবে তাদের মধ্যে অনেক ঝগড়া ঝাটি ও ঝামেলা চলাকালীন মামলা মোকদ্দমায় জরিয়ে পড়ে তারা। এ নিয়ে অনেক বার বিচার মীমাংসাতে বসেও সমাধান হয়নি তাদের। এক পর্যায়ে ২০২১ সালে তাদের ডিভোর্স হয়ে সন্তানটি মায়ের কাছে ছিল। গেল শনিবার শিশুটির দাদা মতিউর রহমান রুনা বেগমের বাড়ি বালিয়াডাঙ্গী থেকে আব্দুল্লাকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। রবিবার সকাল থেকে নিখোঁজ হয় শিশু আব্দুল্লা। এ নিয়ে রুনা আক্তার ঐদিনই ঠাকুরগাঁও সদর থানায় ৫ জনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। শিশুটিকে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও না পেয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় শিশুটির বাবা মাসুদ একটি লিখিত হারানো ডায়েরি করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, ঐ পুকুরটিতে মাত্র ১ থেকে ২ শতক জুরে পানি আছে তার পরিমাণ হাটুর সমান। যদি শিশুটি ঐ পুকুরে রবিবার ডুবে মারা যায় তাহলে সোমবার ঐ পুকুরে আমরা সবাই এতো খোঁজাখুঁজির পরেও কেন তার লাশ পাওয়া গেলনা? আবার মঙ্গলবার পাওয়া গেল তাও আবার অর্ধেক শরীর পানিতে আর অর্ধেক শরীর ডাঙ্গায়। আমরা বিষয়টি অত্যন্ত রহস্যময় মনে করছি। প্রশাসন যদি দুই পক্ষকেই ভালোমতো জিজ্ঞাসাবাদ করে সঠিকভাবে তদন্ত করে তাহলে হয়তো …
হরিপুরে বিএসএফের গুলিতে প্রাণ গেল বাংলাদেশি দুই যুবকের
জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক…
সুন্দরগঞ্জ আসনে ৪ জনের মনোনয়ন বাতিল
// হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনে ৪ জনের মনোনয়ন…
সুন্দরগঞ্জে ১৬ জন প্রার্থীর মনোনয়ন জমা
// হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা জেলার ৫টি আসনের মধ্যে ১…
নিরাপদ সুন্দরগঞ্জ গড়তে জাতীয় পার্টির বিকল্প নেই -সাংসদ শামীম
// হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ নানা কারণে সুন্দরগঞ্জ সমালোচিত এবং আলোচিত। এখানে একটি ঐক্যমত প্রয়োজন।…
ঠাকুরগাঁওয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা হারাতে বসেছে নিজ মাতৃভাষা
// জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : উওরবঙ্গের সীমান্ত কোল ঘেঁষা ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা। এই উপজলাটিতে স্বাধীনতার পূর্বে থেকে বসবাস করে আসছেন ক্ষুদ্র- নৃগোষ্ঠীর পাহান সম্প্রদায়ের লোকেরা। এই পাহানরা উপজেলার ৮নং নন্দুয়ার ইউনিয়নের ভোলাপাড়া, পৌরশহর ৮ নং ওয়ার্ডের নয়নপুর, মুনিষগাঁও, ৩ নং হোসেন ইউনিয়নের সিদলী, ৫ নং বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ী, বাকসাসুন্দরপুর, ২নং নেকমরদ ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর, পারকুন্ডা, সহ রাতোর ইউনিয়ের ঘনশ্যামপুর গ্রামে বসবাস করেন। পাহানদের বর্তমানে সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভাগ্যের চাকা বদলে দিয়েছে ইএসডিও প্রেমদীপ নামক একটি বেসরকারি সংস্থা। পাহানদের সবদিকে উন্নয়ন ভাগ্যের চাকা বদলে গেলেও এখনো রয়েছে তাদের ছেলে- মেয়েদের নিজ মাতৃভাষা সাদরী ভাষায় কথা বলার সমস্যা। পাহানরা সবাই সাদরী ভাষায় কথা বলেন। কিন্ত তাদের ছেলে- মেয়েরা দিনে, দিনে, হারাতে বসেছে নিজের ভাষা ও কৃষ্টি-সংস্কৃতি। পাহানরা প্রতিবছর ভাদ্র মাসের একাদশী তিথীতে তাদের ঐতিহাসিক বড় উৎসব কারামপূজা পালন করেন। পাহানরা যে মাতৃভাষায় কথা বলেন সেইটার হলো সাদরী ভাষা। এইটি তাদের প্রাণের মায়ের মাতৃভাষা। এই সাদরী ভাষা তারা ভুলতে পারবে না তাই পাহানদের মাননীয় দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের কাছে দাবি তাদের এই ভাষা সাদরী কে বই পুস্তকে প্রকাশ করার। সরকার যদি তাদের ছেলে- মেয়েদের কাছে এই ভাষার বই পুস্তক তুলে দেন তাহলে এই সম্প্রদায়ের ছেলেরা মেয়েরা খুব সহজেই তাদের সাদরী ভাষার বই পড়তে পারবে এবং তাঁদের পাহাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে। যদি এই সাদরী ভাষা সংরক্ষণ না করা যায় তাহলে তাদের সমাজে থেকে হারিয়ে যেতে পারে তাদের এই নিজ মাতৃভাষা সাদরী। এই রাণীশংকৈল উপজেলায় যদি পৃথক একটি ক্ষুদ্র – নৃগোষ্ঠীর কালচার একাডেমি ভবন করা হয় তাহলে এখানকার ক্ষুদ্র- নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ছেলে মেয়েরা নিজস্ব ভাষায় নাচ,গান চর্চা করতে পারবে। তাহলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছেলে মেয়েরা হারিয়ে ফেলেবে না নিজ মাতৃভাষা ও কৃষ্টি-সংস্কৃতি।