// জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : উওরবঙ্গের সীমান্ত কোল ঘেঁষা ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা। এই উপজলাটিতে স্বাধীনতার পূর্বে থেকে বসবাস করে আসছেন ক্ষুদ্র- নৃগোষ্ঠীর পাহান সম্প্রদায়ের লোকেরা। এই পাহানরা উপজেলার ৮নং নন্দুয়ার ইউনিয়নের ভোলাপাড়া, পৌরশহর ৮ নং ওয়ার্ডের নয়নপুর, মুনিষগাঁও, ৩ নং হোসেন ইউনিয়নের সিদলী, ৫ নং বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ী, বাকসাসুন্দরপুর, ২নং নেকমরদ ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর, পারকুন্ডা, সহ রাতোর ইউনিয়ের ঘনশ্যামপুর গ্রামে বসবাস করেন। পাহানদের বর্তমানে সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভাগ্যের চাকা বদলে দিয়েছে ইএসডিও প্রেমদীপ নামক একটি বেসরকারি সংস্থা। পাহানদের সবদিকে উন্নয়ন ভাগ্যের চাকা বদলে গেলেও এখনো রয়েছে তাদের ছেলে- মেয়েদের নিজ মাতৃভাষা সাদরী ভাষায় কথা বলার সমস্যা। পাহানরা সবাই সাদরী ভাষায় কথা বলেন।
কিন্ত তাদের ছেলে- মেয়েরা দিনে, দিনে, হারাতে বসেছে নিজের ভাষা ও কৃষ্টি-সংস্কৃতি। পাহানরা প্রতিবছর ভাদ্র মাসের একাদশী তিথীতে তাদের ঐতিহাসিক বড় উৎসব কারামপূজা পালন করেন। পাহানরা যে মাতৃভাষায় কথা বলেন সেইটার হলো সাদরী ভাষা। এইটি তাদের প্রাণের মায়ের মাতৃভাষা। এই সাদরী ভাষা তারা ভুলতে পারবে না তাই পাহানদের মাননীয় দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের কাছে দাবি তাদের এই ভাষা সাদরী কে বই পুস্তকে প্রকাশ করার। সরকার যদি তাদের ছেলে- মেয়েদের কাছে এই ভাষার বই পুস্তক তুলে দেন তাহলে এই সম্প্রদায়ের ছেলেরা মেয়েরা খুব সহজেই তাদের সাদরী ভাষার বই পড়তে পারবে এবং তাঁদের পাহাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে। যদি এই সাদরী ভাষা সংরক্ষণ না করা যায় তাহলে তাদের সমাজে থেকে হারিয়ে যেতে পারে তাদের এই নিজ মাতৃভাষা সাদরী। এই রাণীশংকৈল উপজেলায় যদি পৃথক একটি ক্ষুদ্র – নৃগোষ্ঠীর কালচার একাডেমি ভবন করা হয় তাহলে এখানকার ক্ষুদ্র- নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ছেলে মেয়েরা নিজস্ব ভাষায় নাচ,গান চর্চা করতে পারবে। তাহলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছেলে মেয়েরা হারিয়ে ফেলেবে না নিজ মাতৃভাষা ও কৃষ্টি-সংস্কৃতি।