নওগাঁ জেলায় কোভিড-১৯ প্রতিরোধে মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন গ্রহণে ব্যপক সাড়া পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রতিদিন নওগাঁ জেলা শহরের আড়াইশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ৫টি বুথে এবং জেলার অন্য ১০টি উপজেলা সদরের হাসপাতালগুলোতে প্রত্যেকটির ৩টি করে ৩০টিসহ জেলায় মোট ৩৫টি বুথে এই ভ্যাকসিন প্রদান করা হচ্ছে। গত ৭ ফেব্রæয়ারী থেকে ভ্যাকসিন প্রদান শুর হয়েছে। ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোন রকম বিরুপ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় নি বলে নওগাঁ’র সিভিল সার্জ ডাঃ এ বি এম আবু হানিফ জানিয়েছেন।
সিভিল সার্জনের দেয়া তথ্যমতে জেলায় গত ১৭ ফেব্রæয়ারী ২০২১ তারিখ পর্যন্ত ভ্যাকসিন প্রাপ্তির জন্য মোট ৪০ হাজার ৪শ ৯১ জন রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন এবং ৩১ হাজার ১৬ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। ভ্যাকসিন গ্রহনকারীদের মধ্যে ২১ হাজার ২শ ৩৮ জন পুরুষ এবং ৯ হাজার ৭শ ৭৮ জন মহিলা রয়েছেন।
সুত্রমতে উপজেলাভিত্তিক রেজিষ্ট্রেশনকৃত ব্যক্তির সংখ্যা নওগাঁ সদর উপজেলায় ৯ হাজার ৬শ ৪ জন, রানীনগর উপজেলায় ২ হাজার ১শ ৯১ জন, আত্রাই উপজেলায় ২ হাজার ৬শ ৮১ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় ৩ হাজার ৪শ ৭৩ জন, মান্দা উপজেলায় ৩ হাজার ৭শ ৬৭ জন, বদলগাছি উপজেলায় ২ হাজার ২শ ৩ জন, পতœীতলা উপজেলায় ৩ হাজার ৬শ ৭১ জন, ধামইরহাট উপজেলায় ২ হাজার ৮শ ৮৫ জন, নিয়ামতপুর উপজেলায় ৪ হাজার ৬শ ৭০ জন, সাপাহার উপজেলায় ৩ হাজার ২শ ৭৩ জন এবং পোরশা উপজেলায় ২ হাজার ৭৩ জন।
জেলায় ১৭ ফেব্রæয়ারী পর্যন্ত মোট ভ্যাকসিন গ্রহনকারীর সংখ্যা হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় ৭ হাজার ৪০ জন, রানীনগর উপজেলায় ১ হাজার ৭শ ৮৪ জন, আত্রাই উপজেলায় ২ হাজার ২শ ৮১ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় ২ হাজার ৮শ ৫০ জন, মান্দা উপজেলায় ৩ হাজার ৬৯ জন, বদলগাপছি উপজেলায় ১ হাজার ২শ ৪৫ জন, পতœীতলা উপজেলায় ২ হাজার ৬শ ৪৭ জন, ধামইরহাট উপজেলায় ২ হাজার ২শ ৫০ জন, নিয়ামতপুর উপজেলায় ৩ হাজার ৫শ ১৩ জন, সাপাহার উপজেলায় ২ হাজার ৭শ ৬ জন এবং পোরশা উপজেলায় ১ হাজার ৬শ ৩১ জন।
উল্লেখ্য নওগাঁ জেলায় প্রথম ধাপে ৮৪ হাজার ডোজ কোভিড-১৯ প্রতিষেধক টিকা সরবরাহ পাওয়া গেছে। এ দিয়ে প্রত্যেককে ২ ডোজ করে মোট ৪২ হাজার ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা সম্ভব হবে।