আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে নতুন মুখের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শেখ বাবু আহম্মেদে নিজ নিজ এলাকাগুলোতে প্রচার-প্রচারণা, পথসভা ও গণসংযোগ চালাতে শুরু করেছেন। তিনি এরই ধারাবাহিকতায় কয়লা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে শেখ বাবু আহম্মেদ এক নির্বাচনী আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে কয়লা ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর প্রাইমারী স্কুল মোড়ে সর্বস্তরের জনসাধারণদের উদ্যোগে এই নির্বাচনী আলোচনা সভার আয়োজন করেন। আলোচনা সভার শুরুতেই ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা তাকে জনসমর্থন জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে-সাবেক থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা যুবলীগের কার্যকারী সদস্য শেখ বাবু আহম্মেদ নির্বাচনী আলোচনা সভায় বলেন, জনকল্যাণের লক্ষ্যে কয়লা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছি। জনসেবায় কাজ করতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে নতুন মুখের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে আপনাদের কাছে আসছি। জনগণের দোয়া ও সমর্থনের আহবান জানিয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শেখ বাবু আহম্মেদ বলেন, বিগত দিনে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা এ ইউনিয়নকে ভাল কিছু উপহার দিতে পারেনি। করেনি রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন। এবার আমাকে এ নির্বাচনে আপনারা দলমত নির্বিশেষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে এ ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের উন্নয়নের রোল মডেলসহ গরিব-দুঃখী মেহনতি মানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ চাই। আমাকে একবার আপনাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। তিনি বলেন, জেলা ও উপজেলা আ.লীগের নেতৃবৃন্দের দিক নির্দেশনায় নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছি। আমার বিশ্বাস এবার নৌকা প্রতীক আমাকেই দেয়া হবে। আমাকে নৌকা মার্কা দিলে জনগণের বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এ ইউনিয়নকে নৌকা উপহার দিতে পারব। তিনি আরও বলেন, আমি নির্বাচিত হলে আমার এ ইউনিয়নে মাদক, সন্ত্রাস, বাল্য বিয়ে ও জুয়া বন্ধে কাজ করে যাব। এ ইউনিয়নের প্রতিটা ওয়ার্ডকে ডিজিটাল ও আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলব। এ জন্য সকলের দোয়া ও সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করি। এছাড়া নির্বাচনী আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন-৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, প্রবীন আ.লীগনেতা শেখ আশরাফ আলী, মনিরুল হুদা, সাবেক পৌর যুবলীগের সভাপতি জুলফিকার হোসেন প্রমুখ।