কম বেশি সকলের কাছেই বাড়তি ওজন অনেক চিন্তার বিষয়। যেকোনো বয়সের মানুষের মাঝেই লক্ষ্য করা যায় এমন প্রবণতা। কেউ কেউ শরীরচর্চাতেও মেতে থাকেন, তবে খুব একটা ভালো ফল পাওয়া যায় না। জাপানের একটি থেরাপি রয়েছে যা জাপানের নাগরিকদের কাছে ওজন কমানোর জন্য সুপরিচিত। জাপানের বেশিরভাগ নাগরিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে রঙ চা অথবা পানির উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। কারণ জাপানিরা দুধ চা পান করা খুব একটা পছন্দ করেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ক্যালোরি গ্রহণে ও ক্যালোরি ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকলেই ওজন বাড়বে না। সকাল সকাল খালি পেটে ঠাণ্ডা পানি অথবা কুসুম গরম পানি পান করলে পাচনতন্ত্র পরিষ্কার হয়, সেই সাথে শরীরের আরও নানা সমস্যা দূর হয়। তবে জাপানের এই ওয়াটার থেরাপি বলছে, ঠাণ্ডা পানি ক্ষতিকারক কারণ এটি আপনার খাবার থেকে প্রাপ্ত মেদ এবং তেলগুলি হজম শক্তিকে দুর্বল করে দেয়। যার ফলে হজম অনেক দেরিতে হয় এবং শরীরে রোগ বাসা বাধে।
জাপানিদের ওয়াটার থেরাপিটি হলো,
- সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটেই এক গ্লাস নরমাল ঠাণ্ডা পানি পান করতে হবে। পানি পান করার কমপক্ষে ৪৫ মিনিট পরে সকালের নাস্তা করতে হবে।
- যেকোনো খাবার খেতে হবে মাত্র ১৫ মিনিটে। আর একবার খাওয়ার পরে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা পরে নতুন কিছু খেতে অথবা পান করতে হবে।
- জাপানের চিকিৎসাশাস্ত্রে এ থেরাপির সময়সাপেক্ষতাও রয়েছে যেমন কোষ্ঠকাঠিন্যর জন্য ১০ দিন, উচ্চ রক্তচাপের জন্য, ৩০ দিন, ডায়াবেটিসের জন্য ৩০ দিন, ক্যান্সারের জন্য ১৮০ দিন। তবে ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিসে এর কার্যকারিতা এখনও পরিষ্কার নয়।মাথায় রাখতে হবে এই থেরাপি চলাকালীন কোনোভাবেই ঠাণ্ডা পানি পান করা যাবে না। পানি ওজন কমাক আর না কমাক, সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই শরীরের জন্য পরিমিত পানি পান করতে হবে। শরীরকে হাইড্রেট রাখতে, হজম শক্তি বাড়াতে, এবং শরীরের মেটাবোলিজম সক্রিয় রাখতে পানির বিকল্প নেই।
তবে ভালো হয় এই থেরাপি অনুসরণ করার আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে। কারণ অনেকেরেই শারীরিক অসুস্থতা বা কোনো ওষুধ সেবনের জন্যও ভারী অনুভূত হয়। তাই তাদের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই এই ওয়াটার থেরাপি প্রয়োগ করা যাবেনা।