ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধিপাবনার ভাঙ্গুড়ায় বহুল প্রতীক্ষিত করোনা ভ্যাকসিন পৌঁছেছে। আজ বৃহস্পতিবার পাবনা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে ৪১৪ ভায়েল ভ্যাকসিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছায়। এসময় ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম এবং ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ভ্যাকসিন গ্রহণ করে তা সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করেন। সঠিক ব্যবস্থাপনা ও প্রয়োগের মাধ্যমে এই ভ্যাকসিন মোট ২ হাজার ৭০ জনের শরীরে দেয়া যাবে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সে বিশেষ বক্সে করে ৪১৪ ভায়েল ভ্যাকসিন পৌঁছায়। প্রতিটি ভায়ালে ১০ টি করে টিকা রয়েছে। যা ১০ জন মানুষের শরীরে দেয়া যাবে। এই ভ্যাকসিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই শাখার স্টোররুমে চারটি রেফ্রিজারেটরে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়। এসব রিফ্রিজারেটরে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার উদ্যোগে তাৎক্ষণিক জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়। আগামী রবিবার থেকে টিকা প্রয়োগ শুরু করা হবে। তবে এরই মধ্যে ভ্যাকসিন নিতে ইচ্ছুক অগ্রাধিকার ক্যাটাগরির আওতাভুক্ত ব্যক্তিদেরকে অনলাইনে নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে। টিকা প্রয়োগে আগামীকাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি বুথ নির্মাণ করা হবে। চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে স্বাস্থ্যকর্মীদের তিনটি টিম এসব বুথ পরিচালনা করবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক করোনা ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও প্রয়োগের জন্য কাজ করা হচ্ছে। আশা করছি আগামীকালের মধ্যে টিকা প্রয়োগের সার্বিক কাজ শেষ হবে। নির্বিঘ্নে টিকা দেয়ার পরিবেশ তৈরীর পাশাপাশি টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের কিছুক্ষণ ফলোআপে রাখতে অতিরিক্ত বেড রাখা হচ্ছে। যাতে কোনো উপসর্গ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেয়া যায়।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, করোনা ভ্যাকসিন সঠিকভাবে সংরক্ষন ও প্রয়োগের ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য কর্মীদেরকে সরকারী বিধি মোতাবেক গাইডলাইন দেয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক সার্বিক বিষয়ে মনিটরিং করছে।
ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, করোনা ভ্যাকসিন সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ব্যবহার নিশ্চিত করতে পৌরসভা থেকে সার্বিক দেখভাল করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।