নাজিম হাসান,রাজশাহী থেকে:
মাদক সেবন ও জুয়া খেলার অপরাধে রাজশাহীতে আট পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ছয়জন মহানগর পুলিশের (আরএমপি) এবং দুইজন জেলা পুলিশের সদস্য। এই আটজনের সঙ্গে জেলা পুলিশের অবসর-উত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা এক বাবুর্চিকেও জুয়ার আসর থেকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মহানগর পুলিশ ও জেলা পুলিশের পৃথক দাপ্তরিক আদেশে সাময়িক বরখাস্ত করে তাদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। বরখাস্ত হওয়া আরএমপির পুলিশ সদস্যরা হলেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল বারেক ও এএসআই মিজানুর রহমান, নায়েক আফজাল সরকার, কনস্টেবল ফরহাদ হোসেন, আবদুস সালাম ও সাহেদ আলী। আর জেলা পুলিশের দুইজন হলেন, কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম ও বিপুল। জেলা পুলিশের পিআরএলে থাকা বাবুর্চির নাম আবদুল করিম। জানা গেছে, রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসের সামনে অবস্থিত একটি বাড়িতে বুধবার রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ লাইনের ৯ জন পুলিশ সদস্য জুয়া খেলছিলেন। এ সময় নগরীর বোয়ালিয়া থানা পুলিশের কাছে খবর যায় একটি বাড়িতে জুয়া খেলা হচ্ছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে। পুলিশ আটক করার পর তাদের পরিচয় জানতে পারে। ৯ জনের মধ্যে ৬ জন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্য ও তিন জন রাজশাহী জেলা পুলিশের সদস্য। রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, এসব পুলিশ সদস্যের এমন কার্যকলাপ বিভাগীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী ও অসদাচরণের শামিল। তাই তাদের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মাদকসেবন সন্দেহে তাদের ডোপ টেস্ট করানো হবে।