নাজিম হাসান,রাজশাহী থেকে:
আসন্ন আগামী ১৬ জানুযারী রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে এবার নৈশ প্রহরী থেকে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন কামাল হোসেন। তিনি এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন। কামাল হোসেন এই নির্বাচনে আরো তিন হেভিওয়েট প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন। তারা হলেন, আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, বিএনপি’র ধানের প্রতীকের প্রার্থী সাবেক মেয়র আব্দুর রাজ্জাক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মামুনুর রশিদ মামুন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে কামাল হোসেন ভবানীগঞ্জ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে চাকুরী করতেন। এবারের ভবানীগঞ্জ পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করার জন্য কামাল সেই চাকুরী থেকে ইস্তফা দেন। এর আগে থেকেই তিনি মেয়র পদে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করার জন্য পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ মতবিনিময় শুরু করেন। পরে তিনি মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে সর্বশেষ যাচাইবাছাইয়ে কামালের মনোনয়ন পত্র বৈধ বলে টিকে গেলে তিনি পুরোদমে প্রচারনায় নেমে পড়েছেন। সকাল থেকে রাত অবধি তিনি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। এছাড়া কামাল বিভিন্ন ফসলী জমিতে গিয়ে কষকদের সাথে মিলে তাদের কাজও করে দিচ্ছেন তাদের মন ভরানোর উদ্দেশ্যে। ইতিমধ্যে কামাল এই নির্বাচনে ১০ দফা ইসতেহার নিয়ে ভোটারদের মাঝে প্রচারনায় নেমে পড়েছেন। তার ১০ দফার মধ্যে রয়েছে পৌরসভায় একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, প্রতিবন্ধী স্কুল প্রতিষ্ঠা, এতিমখানা প্রতিষ্ঠা, বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন সহ গোরস্থান ও শ্মশান নির্মাণ, পৌর সীমানা বৃদ্ধিকরণ, ডিজিটাল পৌরনগরী প্রতিষ্ঠা, কৃষকদের বিনামূল্যে সারবীজ প্রদান, শিক্ষার মানউন্নয়ন ও শিল্পায়ন ও মাদকমুক্তকরণ। কামাল জানান, মানুষের কল্যানের জন্য রাজনীতিতে নেমে আমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি সরকারি চাকুরী থেকে ইস্তফা দিয়েছি। আমি মেয়র নির্বাচিত হতে পারলে এই দশদফা সহ আরো বেশ কিছু কর্মসূচী বাস্তাবায়ন করে এই পৌরসভাকে শান্তি ও উন্নয়নের মডেল হিসাবে গড়তে চাই।