সবজীর দাম কমায় চাটমোহরের ভোক্তারা খুশি হলেও উৎপাদক অখুশি

পাবনার চাটমোহরের কৃষকেরা সবজি উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিভিন্ন ধরণের আগাম শীতকালীন শাক সবজি হাট বাজার গুলোতে প্রচুর পরিমানে উঠতেও শুরু করেছে। উৎপাদন ও সরবরাহ বেশি হওয়ায় কমছে দামও। ফলে ভোক্তারা এখন বেজায় খুশি। কিছু দিন পূর্বেও শাক সবজির দাম বেশি থাকায় উৎপাদকদের চোখে মুখে ছিল হাসির ঝিলিক। সেসময় যথেষ্ট পরিমানে লাভ ও করেছেন তারা।
চাটমোহরের বিভিন্ন হাট বাজারের ক্রেতা বিক্রেতা ও আড়তদারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমান সময়ে সবজির দাম কমায় ভোক্তারা খুশি থাকলেও উৎপাদকরা খুশি নন। পাশাপাশি কৃষক কম দাম পেলেও আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতা এ দুই শ্রেণীর মধ্যসত্ত¡ভোগীর কারণে ভোক্তাদের অপেক্ষাকৃত কিছু বেশি দামে সবজি কিনে খেতে হচ্ছে। চাটমোহর থানা বাজারের একতা ভান্ডারের সত্ত¡াধিকারী মকবুল হোসেন জানান, পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি মুলা ২ থেকে ৩ টাকায়, ফুল কপি ৮ টাকায়, বেগুন ১০ টাকায়, পালং শাক ৪ থেকে ৫ টাকায়, শিম ১০ থেকে ১২ টাকায়, নতুন আলু ৩৮ টাকায়, পুরাতন আলু ৩৬ টাকায়, ওল কপি ১৫ টাকায়, লাল শাক ১৫ টাকায়, শসা ২৫ টাকায়, করলা ৩৫ টাকায়, পাতা কপি প্রতিটি ৮ থেকে ১৫ টাকায়, লাউ প্রতিটি ৫ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা জানান, কাচামাল হওয়ায় তাদের অনেক সবজি নষ্ট হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়ে তাদের অপেক্ষাকৃত বেশি দামে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। উৎপাদকরা জানান, সবজির উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই সবজির দাম কমছে। এভাবে দাম ক্রমাগত কমতে থাকলে আমরা ক্ষতি গ্রস্থ হবো।
চাটমোহরের দোলং গ্রামের বাসিন্দা, ভোক্তা মুক্তি মাহমুদ জানান, দির্ঘ দিনের বৃষ্টি ও দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে সবজির উৎপাদন কম হওয়ায় অনেক দিন আমাদের উচ্চ মূল্যে সবজি কিনে খেতে হয়েছে। বর্তমানে আগাম শীতকালীন সবজি বাজারে প্রচুর পরিমানে ওঠায় সবজির মূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসায় আমাদের মনে স্বস্তি ফিরেছে। সকল শ্রেণী পেশার ভোক্তা এখন খুশি।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এ মাসুম বিল্লাহ জানান, চলতি মৌসুমে চাটমোহরে ১ হাজার ৮শ ১১ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। বাজারে সবজির সরবরাহ বেশি হওয়ায় উৎপাদক খুব ভাল দাম না পেলেও ভোক্তারা খুশি হচ্ছেন।