পাবনার চাটমোহরের হান্ডিয়াল ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের অবহেলিত নবীন গ্রামে চলাচলের উপযোগি তেমন কোন রাস্তা নেই। পায়ে চলাচলের একটি রাস্তা থাকলেও সেটি অত্যন্ত নিচু হওয়ায় বছরের কয়েক মাস পানিতে ডুবে থাকে। অন্য সময়েও থাকে খুবই অসমতল। বাস ট্রাক রিকসা ভ্যান লসিমন করিমন কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারে না এ রাস্তায়। ফলে অসুস্থ্য মুমূর্ষু সন্তান সম্ভবা রোগিদের বাঁশের বাখারিতে তুলে কাঁধে বয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকা ছাইকোলা অথবা হান্ডিয়াল নিয়ে তারপর যানবাহনে হাসপাতালে নিতে হয়। পথিমধ্যেই রোগির মৃত্যু ও হয়। স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা যথা সময়ে ক্লাসে পৌছিতে পারে না।
নবীন গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে বাংলাদেশ আওয়ামী নবীনলীগ চাটমোহর উপজেলা শাখার সহ সভাপতি ও হান্ডিয়াল ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধু ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি রাজু আহম্মেদ জানান, আমাদের গ্রামের মধ্য দিয়ে মাটির যে রাস্তাটি ছিল বছরের পর বছর তার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় রাস্তাটি প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারে না এ রাস্তায়। কিছু দিন পূর্বে এক মা জমজ বাচ্চা প্রসবের পর অত্যন্ত অসুস্থ্য হয়ে পরলে নিচু অসমতল এ রাস্তা হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। সম্প্রতি সাবান আলী নামক এক বৃদ্ধ ব্যক্তি অসুস্থ্য হয়ে পরলে বাঁশের বাখারিতে করে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। এ চিত্র ছড়িয়ে পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ ছাড়া মৃত ব্যক্তিদের গ্রামের কবরস্থানে নিতে ও আমাদের খুব কষ্ট করতে হয়। গ্রামের পশ্চিমে গুমানী নদী এবং পূর্বে কাটা গাং। গ্রামের দুই পাশে দুইটি নদী থাকায় এবং সে নদীগুলোতে ব্রীজ না থাকায় খেয়া নৌকার অপেক্ষায় থাকতে হয় মুমূর্ষু রোগি নিয়ে। এছাড়া উভয় দিকে প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার পর আমরা যানবাহনের সুবিধা পাই। এমতাবস্থায় দূর্ভোগ লাঘবে আমাদের গ্রামের মধ্য দিয়ে উঁচু রাস্তা নির্মাণের জোড় দাবী জানাচ্ছি। কেবল রাজু আহম্মেদ নয় এ গ্রামের অন্যান্যরাও রাস্তা নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে হান্ডিয়াল ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, এ রাস্তাটির জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না। ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট খুব কম। রাস্তাটি উঁচু করা এবং হান্ডিয়াল ও ছাইকোলার সাথে সংযোগ সাধন করা আমাদের প্রাণের দাবী। এ ব্যাপারে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।