গোপলা নদী আবারো দখলে একই সিন্ডিকেট চক্র

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ শ্রীমঙ্গলে গোপলা নদীর উপর দিয়ে প্রবাহিত বৌলারদারা থেকে বড়ছড়া, চেংড়া বিলসহ আশ-পাশের এলাকার বিভিন্ন জলাশয় আবারো দখলে নিয়েছে একই সিন্ডিকেট চক্র। শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলা মৎস্য কর্মকতা সিন্ডিকেট চক্রের দখলে থাকা গোপলা নদী পরিদর্শন করেছেন। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য কর্মকতাসহ সংশি¬স্ট অন্যান্যদের যোগাযোগীমূলে গোপলা নদীর উন্মুক্ত জলাশয় বন্ধ করে প্রকাশ্য রাত-দিন চলছে জাল দিয়ে মাছ নিধন। স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ব্যাবস্থা গ্রহনের দীর্ঘবছর যাবৎ একাধিকবার এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সংশি¬ষ্টরা সময় ক্ষেপন করেন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না কওে মাছ নিধনকারীদের পক্ষেই অবস্থান নেন। ফলে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে তথ্য দাতাকেই বিভিন্ন মামলা ও মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানী ও নানামুখী ভয় দেখানো হয়। এ প্রতিবেদকসহ একাধিক সাংবাদিক সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়-গোপলা নদীর উপর দিয়ে প্রবাহিত বিলে প্রকাশ্য কারেন্ট জালসহ মাছ নিধনের অন্যান্য ফাঁদ দিয়ে নিধন করছেন, মানিক,শফিক, মাহমুদ, দরবেশ, আজির, সওদাগার আলী,বুদ্ধি মিয়া, ইয়াছিন মিয়া ও ফুল মিয়াগংরা। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে- দীর্ঘদিন থেকে এমন দৃশ্য চলমান থাকায় অস্থিত্ব সংকটে পড়েছে স্থানীয় গোপলা নদীসহ হাওর গুলো। হাওর ও নদী এখন একেবারেই ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। ক্ষতিগ্রস্থ হাওর গুলো বাচাঁতে প্রধান মন্ত্রীর ঘোষনা দ্রুত বাস্তবায়ন সময়ের দাবী। মাছের রাজ্যখ্যাত ঐতিহ্যবাহী গোপলা নদীসহ আশে পাশের খাল-বিল সিন্ডিকেটদের দখলে। সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি ছাড়াও বিপুল প্রাণী বৈচিত্র্যের আধার এই হাওর অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। হাওরটিকে রক্ষার জন্য সভা সমাবেশ মানববন্ধনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও কোন কাজ হচ্ছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশি¬ষ্ট কর্মকর্তারা মুখে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললেও বাস্তবে তারা অবৈধ লেনদেনের কারণে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। যেনো অনেকটা জেগে ঘুমিয়ে থাকা। অভয়াশ্রম সংলগ্ন হাইল হাওরের মৎস্য ও জলাভূমি সংকটাপন্ন হয়ে পড়ায় পরিবেশ ও প্রতিবেশ হুমকির মূখে পড়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী গোপলা নদী বেআইনীভাবে কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক আতœসাতের প্রতিকার প্রার্থনা করে সংশি¬¬স্ট বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন নিবেদন করেও সুফল আসছেনা।