চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে করোনা ভাইরাস, বন্যা, অবিরাম বর্ষন, ঝড়ো হাওয়াসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মধ্য ও নিম্ন আয়ের কৃষকদের স্বাভাবিক কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে করে পরিজন নিয়ে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে তাদেরকে। পূর্বের সেই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে সবজিসহ নানা প্রজাতের ফসল ফলাতে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষকরা। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে দেখা গেছে এমন চিত্র। বিশেষ করে উপজেলা তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, শান্তিরাম, কঞ্চিবাড়ী, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার চরাঞ্চল ভরে উঠেছে শীতকালিন সবজির সবুজের সমারোহ। শান্তিরাম ইউনিয়নের পরান গ্রামের নুরুন্নবী মন্ডল জানান, দীর্ঘদিন কাজক্রম বন্ধ থাকায় পুঁজির অভাবে চাষাবাদ থেকে বিরত ছিলেন। স্থানীয় জাপা নেতা প্রভাষক শরিফুল ইসলাম শাহীনের নিকট হতে অর্থনৈতিক সহায়তা নিয়ে ২২ শতক জমিতে বেগুন চাষাবাদ করেছেন। এ পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে ফলন ধরতে শুরু করেছে। তিনি আশা করছেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বেগুন বিক্রি শুরু করবেন। বর্তমান বাজারে প্রতিমন বেগুন বিক্রি হচ্ছে ২ হতে ৩ হাজার টাকা। তিনি আরও জানান, যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে এক লাখ টাকার বেগুন বিক্রি করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, চরের কৃষকরা কৃষির উপর নির্ভরশীল। ইতিমধ্যে বিভিন্ন শাক সবজিসহ নানাবিধ ফসল চাষাবাদে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ৬ মাসের কৃষির আয় থেকে চরবাসি গোটা বছর সংসার চালাবে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান, অসময়ে বৃষ্টি বাদলসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষকরা মৌসুমি ফসল ফলাতে পিছিয়ে গেছে। তিনি বলেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ চরাঞ্চল কৃষির জন্য অত্যন্ত উপযোগি। চরাঞ্চল ইতিমধ্যে নানাবিধ মৌসুমি ফসলে ভরে উঠেছে।