রাবি লাইভঃ করোনার বন্ধের মধ্যেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের দ্বিতীয় তলার ছাত্রীদের হঠাৎ করেই কক্ষ পরিবর্তনের নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ। এসব শিক্ষার্থীদের নিজ কক্ষে অবস্থানের সুযোগ না দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে হল ত্যাগের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
ইফফাত আরা সায়মা নামের হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, আজকে হল কর্তৃপক্ষ থেকে ফোন করে বলা হচ্ছে কালকে এসে রুম চেঞ্জ করে যেতে হবে রুমে টাইলস স্থাপন করা হবে। ২য় তলার ছাএীদের রুম পরিবর্তন করে ৪র্থ তলায় নতুন করে উঠতে হবে। এবং একটি রাতের জন্য ও থাকতে দেওয়া হবেনা। অথচ অনেক মেয়ের পক্ষেই এক দিনের মধ্যে রাজশাহী যেয়ে আবার ফিরে আসা সম্ভব না তাহলে তারা কোথায় থাকবে? আর এভাবে হঠাৎ করেই বা কেন যেতে বলা হচ্ছে এটা কোন ধরনের মানবিকতা,অন্তত একদিন থাকার পারমিশন দিতে তো পারতো যোগ করেন তিনি।
পরিকল্পনা ছাড়া এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলের ৩য় তলার আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ৩য় তলায় যারা আছি তাদেরকে কোন ফ্লোরে শিফট করাবেন সেই সিদ্ধান্ত ও কর্তৃপক্ষ এখনো নিতে পারেননি কারণ তাদের ৫ম এবং ৬য় তলার কাজ এখনও শেষ হয়নি। তাদেরকে বলা হচ্ছে পরর্বতী সপ্তাহে ডাকা হতে পারে। এটা কেমন সিদ্ধান্ত নিলেন কর্তৃপক্ষ? তাছাড়া অন্য ফ্লোরের যারা আসছে প্রয়োজনীয় জিনিস নিতে, তাঁদেরকেও রুম চেঞ্জ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
হল প্রাধ্যক্ষ শর্মিষ্ঠা রায়ের কাছে হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, হলের তৃতীয় তলা থেকে ৬ষ্ঠ তলার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। নিচের তলাগুলোর কিছু কাজ বাকি রয়ে গেছে। হলের কাজ করার কন্ট্রাক্ট যিনি নিয়েছিলেন তিনি এখন বাকি থাকা কাজগুলো শেষ করতে চাচ্ছেন। ভিসি স্যার কাজ শুরু করার অনুমতি দিয়েছেন। সে প্রেক্ষিতেই এক ব্লকের ২৫ টি রুমের ৫০ জন ছাত্রীকে ডাকা হয়েছে।
ছাত্রীদের রাতে হলে অবস্থানের সুযোগ না দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, হল যেহেতু এখন বন্ধ আছে সেহেতু আমরা কোনো ছাত্রীর দায়িত্ব নিতে পারবো না। আর ছাত্রীরা তো এমনিতেও ক্যাম্পাসে আসতেছে এবং বান্ধবী দের সাথে থাকছে। সেক্ষেত্রে তেমন সমস্যা হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।