পাবনার চাটমোহরের মাঠে মাঠে চলছে বোনা ও রোপা আমন ধান কাটা। দুই দফা বন্যা ও বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্তে¡ও ধানের ভাল ফলন পেয়ে ও ধান ঘরে তুলতে পেরে খুশি এ এলাকার কৃষক। এ এলাকায় রোপা আমনের মধ্যে ব্রীধান-৩৯, ব্রীধান-৩৩, স্বর্ণা ও বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড ধানের চাষ হয়। বোনা আমনের মধ্যে অন্যতম আজলদীঘা।
চাটমোহর কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে চাটমোহরে ১১ হাজার ৪শ ৩০ হেক্টর জমিতে বোনা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ১শ ৯০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড তেজ ধান আবাদ করা হয়েছে। হেক্টর প্রতি এ ধানের ফলন পাওয়া যাচ্ছে ৬ মেট্রিক টন। চাটমোহরের উত্তরাংশের হান্ডিয়াল ও নিমাইচড়া ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার নিচু জমির বোনা আমন ধান বর্ষার পানিতে ডুবে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন এ এলাকার কৃষকেরা।
রোপা আমন চাষী, রামনগর গ্রামের মুনজিল হোসেন জানান, তিন বিঘা জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করেছেন তিনি। প্রতি বিঘা জমির চারা কিনতে ২ হাজার টাকা, চারা রোপনে ২ হাজার টাকা, আগাছা দমনে ২ হাজার টাকা, সার প্রয়োগে ১ হাজার ৪শ টাকা, কীটনাশক বাবদ ১ হাজার ৮শ টাকা এবং কাটা বাবদ ২ হাজার ৪শ টাকাসহ সব মিলিয়ে বিঘা প্রতি ১১ হাজার ৬শ টাকা খরচ হয়েছে তার। বিঘা প্রতি ১৪ মন ধান পেয়েছেন তিনি, যার বর্তমান বাজার মূল্য ১৪ হাজার টাকা। পাশাপাশি এ জমি থেকে প্রায় ৮ হাজার টাকার ধানের খড় পেয়েছেন তিনি। বিঘা প্রতি লাভ থাকছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। হরিপুর ইউনিয়নের ধুলাউড়ি গ্রামের রোপা আমন চাষী মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, বিঘা প্রতি প্রায় ১৫ মন ফলন পাওয়া যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এ মাসুম বিল্লাহ জানান, দুই দফা বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে কৃষকের কিছুটা ক্ষতি হলেও আগাম জাতের ধানের ভাল ফলন হওয়ায় এবং হাট বাজারে ধানের যথেষ্ট দাম থাকায় কৃষকেরা বেশ খুশি।