বগুড়া শহরের তিনমাথায় ছুরিকাঘাতে নিহত জেলার কাহালু উপজেলার আব্দুল মোমিন (২৮) এর হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে সদর থানা পুলিশ। দীর্ঘ ৬ মাস ধরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অবশেষে শনিবার রাতে ঘটনার সাথে জড়িত ১ জনকে গ্রেফতারের মাধ্যমে হত্যার প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।
ঢাকা থেকে ট্রাকযোগে বেসরকারী কোম্পানীতে চাকরি করা আব্দুল মোমিন গত ১১ই এপ্রিল দিবাগত রাত ২টায় বগুড়া শহরের তিনমাথায় এসে নামে। সেখানেই সংঘবদ্ধ একটি ছিনতাইকারী চক্রের কবলে পরে আত্মরক্ষার চেষ্টায় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মোমিন কে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। মোমিন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিয়ে লুটিয়ে পরলে তার কাছে থাকা সবকিছু হাতিয়ে নিয়ে চলে যায় সেই চক্রের সদস্যরা। বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী এবং সদর ওসি হুমায়ুন কবির এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় ইন্সপেক্টর (অপারেশন) হাসান আলী’র নেতৃতে দীর্ঘ ৬ মাস ধরে তথ্য প্রযুক্তি এবং বিভিন্ন সোর্স ব্যবহার করে অবশেষে শনিবার রাতে ঐ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত শহরের পুরান বগুড়া শেরে বাংলা নগরের মৃত: হাফিজার রহমান এর ছেলে চঞ্চল হোসেন (২৩) কে গ্রেফতারের মাধ্যমে এই হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য জানা যায় সাথে সাথেই জড়িত চক্রের বাকি সদস্যদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে মর্মে সোমবার গণমাধ্যমকে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর হাসান আলী। বগুড়া সদর থানা সূত্রে জানা যায়, এই বছরের ১১ই এপ্রিল দিবাগত রাত ২টার পর শহরের তিনমাথায় রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবকে দেহ পরে আছে মর্মে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে ঘটনাস্থল থেকে সদর থানা পুলিশ অজ্ঞাত অবস্থায় লাশটিকে শজিমেকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সোশ্যাল মিডিয়া মারফত ঐ যুবকের পরিচয় জানা যায় যে সে জেলার কাহালু উপজেলার ছোট বাখড়া এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে আব্দুল মোমিন (২৮)। ময়নাতদন্ত পরবর্তী উক্ত ঘটনায় সদর থানার এস.আই আব্দুল মালেক বাদী হয়ে একটি মামলা করেছিল যার রহস্য অবশেষে উন্মোচিত হলো দীর্ঘ ৬ মাস পরে।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, গ্রেফতারকৃত চঞ্চল হোসেন দীর্ঘদিন থেকেই পেশাগতভাবে ছিনতাইকারী চক্রের সাথে জড়িত ছিল। শনিবার রাতে তাকে গ্রেফতারের পর রবিবার আদালতে প্রেরণ করা হলে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিল্লাল হোসেন এর কোর্টে গ্রেফতারকৃত চঞ্চল উক্ত ঘটনার তার জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেছে। সেই সাথে উক্ত ছিনতাই এর উদ্দেশ্যে ঘটা উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বাকিদেরও গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।